খেলাধুলা ডেস্ক
গত বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১–০ গোলে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল নেইমার–এমবাপ্পের পিএসজির। এবার সেই হারের বদলা নেওয়ার সুযোগটা পিএসজির সামনে এসে গিয়েছিল শেষ আটেই। বদলাটা কাল রাতে খুব ভালোভাবেই নিয়েছে পিএসজি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নস বায়ার্ন মিউনিখকে ৩–২ গোলে হারিয়ে সেমির পথে নিজেদের এগিয়ে রাখল তারা।
ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন মিউনিখ বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু সেই মাঠেই বায়ার্নকে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি, জোগাড় করেছে মহামূল্যবান তিন অ্যাওয়ে গোল।
পিএসজির হয়ে দুটি গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে, একটি গোল করেন মার্কিনিয়োস। অন্যদিকে বায়ার্নের হয়ে একটি করে গোল করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং ও টমাস মুলার।
ম্যাচের শুরুতেই পিএসজিকে গোল উপহার দেন বায়ার্ন অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যার। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে নেইমারের পাস থেকে বায়ার্ন বক্সে বল পেয়ে যান এমবাপে, সেখান থেকে যে শট নেন, তাতে নয়্যারের পরাস্ত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তার হাত গলে বল জড়ায় জালে, মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় পিএসজি।
২৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে পিএসজি। নেইমারের বাম পায়ের দুর্দান্ত ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন মার্কিনিয়োস।
গোল করার মাত্র মিনিট দুয়েক পরেই চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। আর মার্কিনিয়োস মাঠ ছাড়ার মিনিট সাতেক পরেই চুপো-মোটিংয়ের গোলে ম্যাচে ফেরে বায়ার্ন।
বিরতির পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা, তার পরই সমতায় ফেরে বায়ার্ন। ইয়োশুয়া কিমিখের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে খেলায় ২-২ গোলের সমতা আনেন মুলার।
সমতা টেকে মাত্র ৮ মিনিট। আরেকটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আবারও বায়ার্ন বক্সে জায়গা পান এমবাপে। এবার অবশ্য নয়্যারকে ভুল করার সুযোগ দেননি। জেরোম বোয়াটেংয়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে শট নিয়ে পিএসজিকে এগিয়ে নেন ফরাসি তারকা।
এমন একটা জয়ের পর স্বভাবতই দারুণ খুশি পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তিনি খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে তিনি তাঁর শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘এখনো সেমিতে উঠতে ৯০ মিনিট লড়াই করতে হবে। আর সেই লড়াইটা হবে অনেক কঠিন।
পিএসজির মাঠে দ্বিতীয় লেগ হবে আগামী মঙ্গলবার। সেখানে স্রেফ জিতলেই হবে না বায়ার্নের। নিশ্চিত করতে হবে যে ব্যবধান থাকবে দুই গোলের বেশি।
Discussion about this post