বিনোদন ডেস্ক
ঢাকাই সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা জীবনের আরেকটি বসন্ত পার করলেন । মঙ্গলবার (১৫ জুন) গুণীর এই অভিনেত্রীর ৬৯তম জন্মদিন।
এহতেশাম ছিলেন শাবানার চাচা (বাবার খালাতো ভাই)। তার হাত ধরেই ১৯৬৭ সালে ‘চকোরী’তে নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান এই কিংবদন্তি। এই সিনেমার মাধ্যমেই সবাই তাকে শাবানা নামে চিনতে শুরু করেন। সিনেমাটি বেশ ব্যবসাসফল হলে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
তিন দশকের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ২৯৯টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন শাবানা। এর মধ্যে ১৩০টি সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন আলমগীর। এছাড়াও রাজ্জাক, জসীম, সোহেল রানা, ফারুকসহ বেশ কয়েকজন গুণী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা।
শাবানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে- ‘ভাত দে’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘অবুঝ মন’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ প্রভৃতি।
১৯৮০ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘সখি তুমি কার’ সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবানা। এরপর অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য মোট নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এছাড়াও বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি’সহ আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
১৯৭৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিককে বিয়ে করেন শাবানা। এরপর দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন এসএস প্রোডাকশন। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র থেকে বিদায় দেন। ২০০০ সালে সপরিবারে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। শাবানা-সাদিক দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তারা হলেন- সুমি, উর্মি ও নাহিন। ২১ বছর ধরে ক্যামেরা থেকে দূরে রয়েছেন শাবানা।
Discussion about this post