নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশ্যই সেবা প্রদানে কারো প্রতি কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাইকে সেবকের মানসিকতা নিয়েই কাজ করতে হবে। যেহেতু জনগণের করের টাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন হয় সেহেতু জনগণকে নির্বিঘ্ন ও যথাসময়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য এবং সিটিজেন চার্টার কমিটির আহ্বায়ক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন বাধ্যতামূলক করেছে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সকল শ্রেণির সেবাগ্রহীতার প্রতি সমান সম্মান প্রদর্শনের জন্য ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।
সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন ও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা গেলে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও ইউজিসি সদস্য অভিমত প্রকাশ করেন।
ভার্চুয়ালি আয়োজিত সিটিজেন চার্টার-বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ইউসুফ আলী খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সিটিজেন চার্টার বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
স্বাগত বক্তব্যে ড. ফেরদৗস জামান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই সরকারি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত আছে। সিটিজেন চার্টার প্রবর্তন ও বাস্তবায়ন এই সংস্কার কার্যক্রমেরই অংশ।
তিনি আরও বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে গত অর্থবছরে ইউজিসি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। সবার আন্তরিকতা ও কর্মনিষ্ঠা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কর্মসম্পাদনে ইউজিসির পক্ষে প্রথম স্থান অর্জন করা কঠিন হবে না।
এই কর্মশালায় ইউজিসির বিভিন্ন বিভাগের মোট ১৩ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
Discussion about this post