মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে পালিত হলো ‘ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট দিবস-২০২১। এবারের ফার্মাসিস্ট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ফার্মেসি: আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত ( Pharmacy: Always trusted for your health )।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপ—উপাচার্য ও ফার্মেসি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ইব্রাহীম, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারিতে ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং রাখছেন। চিকিৎসক রোগ নির্ণয় করে ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন কিন্তু ভালো ওষুধের জন্য ব্যাপক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদনের সাথে মূলত ফার্মাসিস্ট জড়িত।
‘আমাদের দেশে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ছাড়াই ওষুধ সংরক্ষণ, ডিসপেন্সিং ও বিতরণ করা হয়ে থাকে যা একেবারে উচিত নয়। চারদিকে ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি তাই ফার্মাসিস্টদের সতর্ক থাকেতে হবে ভেজাল ওষুধের কারণে যাতে কারও জীবনহানি না হয়। ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগতমান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, যদি ক্লিনিকাল ও কমিউনিটি ফার্মেসির ধারণাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য এক মাইলফলক হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে—বিশ্বের অনুন্নত ৪৮ দেশের মধ্যে ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ। ২৫৭ কোম্পানির ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২৫ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস। পালিত হয়ে আসছে ২০১০ সাল থেকে। যদিও বাংলাদেশে সেটা হতে সময় লেগেছে আরও ৪ বছর অর্থাৎ বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে ২০১৪ সাল থেকে।
Discussion about this post