তানভীর জাকারিয়া চৌধুরী
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) উদ্যোক্তাদের গড়ে তোলায় জোর দিচ্ছে। বিভিন্ন কেইস স্টাডি পড়ানোর পাশাপাশি কারিকুলামে এ ধরনের ব্যবসার নানা দিক নিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ যদি এ ধরনের ব্যবসার নতুন আইডিয়া বা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে, তাদেরকে আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ইডিইউ ফাউন্ড্রি নামের একটি কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি।
রবিবার ২৮ নভেম্বর ইডিইউতে ‘ই-কমার্স প্রসপেক্ট ইন বাংলাদেশ জব এন্ড এন্ট্রপ্রেনরশিপ’’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে বেলা ১১.৩০টায় শুরু হওয়া এ সেমিনারে ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান বলেন, আজকের দিনে ই-কমার্স এক উজ্জ্বল বাস্তবতা। কালের পরিক্রমায় আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে ই-কমার্সকে অস্বীকার করার উপায় নেই। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়তো আরো জরুরি, কিন্তু গ্রাহকদের কাছে আস্থাবান হয়ে উঠতে হবে ই-কমার্সকে।
ব্লেন্ডেড লার্নিং মেথডে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা অনলাইন মাধ্যমেও যোগ দেয়।
অতিথি বক্তা হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সভাপতি রাজিব আহমেদ। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ই-কমার্স দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। নতুন উদ্যোক্তা আসার পাশাপাশি বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যাও। করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের সেবায় ই-কমার্সের অবদান অনেক। নিত্যপ্রয়োজনীয় থেকে শৌখিন সামগ্রী সবকিছুতেই সাধারণ মানুষ ই-কমার্সের দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে প্রায় লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনগুলোতে এ খাতে আরো সাফল্য আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপর অতিথি বক্তা কাকলী’স অ্যাটায়ারের সত্ত্বাধিকারী কাকলী তালুকদার বলেন, ২০০০ সালে বাংলাদেশে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হলেও, তা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ায় ২০১৫ সালে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৫ হাজার ওয়েবসাইটভিত্তিক ও প্রায় ৫০ হাজার ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে। গত ২০ বছরে এখন পর্যন্ত ১৬০.৫০ বিলিয়ন টাকার বিনিয়োগ ঘটেছে এবং ২০২৩ নাগাদ তা ২৫০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আরিয়া’স কালেকশনের সত্ত্বাধিকারী নিগার ফাতিমা তার বক্তব্যে বলেন, অনেকেরই ধারনা ই-কমার্স শুধু উদ্যোক্তাদেরই জন্য। কিন্তু এখানে অনেকেই তাদের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। উন্নত শিক্ষায় দীক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা যোগ দিলে ই-কমার্স আরো লাভবান হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ফটোগ্রাফি, কায়েন্ট সার্ভিস, সাপ্লাই চেইন- এসব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ তৈরি করছে ই-কমার্স।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. রকিবুল কবির, ডিরেক্টর অব স্টুডেন্ট এফেয়ার্স অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর তাবাসসুম চৌধুরী প্রমুখ।
Discussion about this post