শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
একই দিন ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ মরদেহটি উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখে। সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
জানা গেছে, মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলম, মেডিকেল অফিসার রুমন রহমান ও মাহফুজুর রহমান।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য একটি প্রতিবেদন জেলা সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া হাসপাতালের মর্গে ফরেনসিক ময়নাতদন্ত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, অধ্যাপক সেলিম হোসেন গত ৩০ নভেম্বর মারা যান। ১ ডিসেম্বর ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুর আগে সেলিম হোসেনের ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
Discussion about this post