অনলাইন ডেস্ক
বিজয়ের ছুটিতে লাখ লাখ পর্যটক এখন সৈকতের জেলা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে যুক্ত হয়েছে বিজয় দিবসের অতিরিক্ত ছুটিও।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাও শেষ। তাই এই সুযোগে দলে দরে কক্সবাজার সৈকতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। তির ধরনের ঠাই নেই সৈকতের শহরটিতে।
তবে শহরবাসীর অভিযোগ, এতো সতর্কতার পরেও বেশিরভাগ দর্শনার্থী করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এনিয়ে কোন ধরনের নির্দেশনাও মানতে নারাজ তারা।
অবকাশে আসা লাখো পর্যটকের ভিড়ের মাঝেও লাল-সবুজ পতাকা। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন হাতে থাকা দেশের নিশান অন্যদের মনে জাগিয়েছে শিহরণ।
তাছাড়া নীল জলের বুকে উড়ছে প্রিয় মৃত্তিকার চিহ্ন। সৈকতে শত শত পতাকাবাহী মানুষের আনাগোনা বলে দেয় দেশজুড়ে চলছে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব।
সৈকত ঝুড়ে সৈকত জুড়ে আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর হৈ হুল্লোড়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের যে দিকেই তাকানো যায় সব দিকেই গিজগিজ করছে মানুষ।
আর জেলার প্রধান সড়কগুলো দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক দূরপাল্লার বাস। ছোটাছুটি করছে ছোট ছোট যানবাহন থেকে শুরু করে মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি।
হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব রুম বিক্রি হয়ে গেছে, আরো অনেকেই রুম চাইছেন। হাজারো পর্যটক হোটেল কক্ষ না পেয়ে বাসে কিংবা রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরা করে সময় পার করছেন।
সকাল বিকালে লাখো পর্যটক সৈকতে নেমে লোনাজলে শরীর ভেজাচ্ছেন। কেউবা শহর ও শহরের বাইরে বিনোদনকেন্দ্রে ছোটাছুটিতে ব্যস্ত।
আর এই ফাঁকে যথারীতি উধাও হয়ে গেছে করোন মহামারীর সব স্বাস্থ্যবিধি। সৈকতে এমন ভিড়ে কারো মুখেই মাস্ক নেই। তদারক করার মানুষও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেশিরভাগ পর্যটক হোটেল মাস্ক রেখে সৈকতে ছুটে আসেন। জেলা প্রশাসন বলছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতেও কাজ করছেন তারা।
Discussion about this post