অনলাইন ডেস্ক
আগামী প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই। যারা কবিতা পাঠ করেন, যারা কবিতা লেখেন, কবিতা পড়েন তাদের মন ও মনন সুন্দর হয়।
তাই আমার মনে হয় সারাদেশব্যাপী কবিতা পাঠ উৎসব হওয়া উচিত। বিশেষ করে জেলা পর্যায়েও এই আয়োজন হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আয়োজনে শুরু হওয়া দেশব্যাপী আবৃত্তি আয়োজন ‘উচ্চকণ্ঠে উচ্চারো আজ মানুষ মহীয়ান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, সারাদেশে কবিতা পাঠের উৎসব হওয়া উচিত। কবিতার আয়োজন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া উচিত। এ বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমি পদক্ষেপ নিতে পারে। কবিতা চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে আমরা আবহমান বাংলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবো। এর মাধ্যমে তাদের মন বিকশিত করা যাবে। আমরা আমাদের উন্নয়নে যেখানে পৌঁছতে চাই, সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কবিতার চর্চা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভাষার জন্য যারা লড়াই করেছেন, তারা যদি আমাদের জন্য লড়াই না করতেন, তাহলে আজকে বাংলা পড়তে হতো অন্য হরফে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরবি হরফে বাংলা লেখার কথা বলাও হয়েছিল। সেটি হলে আজকে বাংলায় কবিতা পড়া হতো না। কিন্তু আপামর বাঙালি মনে করেছিল- আমি বাঙালি। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে বেরিয়ে তাই অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে আমাদের স্বাধীনতা এসেছিল। সেই অসাম্প্রদায়িকতা থেকেই আমাদের দেশ কবিতার দেশ। আর কবিরা ইন্টেলেকচুয়াল।
অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বেলে দেশব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেত্রী এবং আবৃত্তি শিল্পী সুবর্ণা মুস্তফা। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি জীবনানন্দের রূপসী বাংলা কবিতাটি আবৃত্তি করে শোনান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, সংস্কৃতিজন ম হামিদ, আবৃত্তি শিল্পী রূপা চক্রবর্তী, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কবি শ্যামসুন্দর শিকদার প্রমুখ। আয়োজনের শুরুতেই উদ্বোধনী আবৃত্তি নৃত্য পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী র্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস।
Discussion about this post