খেলাধূলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ বরাবরই বাংলাদেশের জন্য বিভীষিকাময়। তারপরও সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে পুরনো ব্যর্থতা থেকে আলো খোঁজার মিশনে নেমেছে মুমিনুল হকরা। এই মুহূর্তে ৭৩ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দল অন্তত ১৫০ রানের লিড চায়। তৃতীয় দিন শেষে এমনটাই জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টের খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ (সোমবার) বে ওভালে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০১ রান। উইকেটে আছেন মেহেদী হাসান (২০*) ও ইয়াসির আলী (১১*)। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের সকাল ভালোভাবে শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে সুজন বলেছেন, ‘এটা অন্যতম সেরা দিন। হ্যাঁ চ্যালেঞ্জিং, তবে প্রক্রিয়াটা দারুণ ছিল। দারুণভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। ছেলেরা সত্যিই দারুণ করেছে। কালকের (মঙ্গলবার) সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে ৪ উইকেট আছে। মিরাজ ও ইয়াসির আছে, ৭৩ রান লিড আছে। আরও ৭০ রানের মতো লিড পেলে দেড়শ রানের মতো লিড হবে। তখন আমরা ভালো অবস্থানে থাকবো।’
আগের দিন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ১০৪ রানের জুটির পর আজ মুমিনুল হক-লিটন দাস মিলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন। এই দুই জুটিতে লিড পায় সফরকারীরা। মুমিনুল-লিটনের জুটি নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, দুজনের পার্টনারশিপটা খুবই ভালো ছিল। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা শৃঙ্খলা মেনে বল করে। সেই বোলিংয়ের সামনে উইকেটে টিকে থাকা… মুমিনুল ছিল অসাধারণ। উইকেটে এত বল ছিল, যেভাবে বল ছেড়েছে। জয়ও এই কাজটা করেছে। মুমিনুল ও লিটন অনবদ্য ছিল। মুমিনুলের অভিজ্ঞতা লিটনের চেয়ে বেশি। তবে দুজনই দারুণ পার্টনারশিপ করেছে। এখন ম্যাচে যে অবস্থায় আছি, এই অবস্থা থেকে ডমিনেট করতে পারবো।’
তৃতীয় দিনের সকালে ৮ রান যোগ করে বিদায় নেন জয়। কিছুক্ষণ পর মুশফিক ফিরে গেলে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তখন ত্রাতার ভূমিকাতে মুমিনুল-লিটন জুটি। নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে টিম ডিরেক্টর বলেছেন, ‘নতুন বল নেওয়ার পর আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে থাকা। ওই সময়ে নিউজিল্যান্ড দারুণ বল করেছে। আমাদের মারার কোনও সুযোগই দেয়নি। প্রথম কয়েকটা ওভারে জয় ও মুমিনুল স্ট্রাইকই বদলাতে পারেনি। সিঙ্গেলও হচ্ছিল না। টাইট লাইন-লেন্থে বল করেছে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। মুমিনুল ও মুশফিক ওই সময়টা যেভাবে কাটিয়েছে…। রানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আমরা যত বেশি সম্ভব লম্বা সময় ব্যাটিং করতে চেয়েছি। খেলা যত গভীরে নেওয়া যায়। প্রক্রিয়া ঠিক রেখে বাস্তবায়ন পারফেক্ট ছিল।’
লিটন ৮৬ রান করে সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু হয়নি। আউট হয়ে গেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। লিটনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে সুজন বলেছেন, ‘সবাই ভালো ব্যাটিং করেছে। লিটনের ব্যাটিং তো সাবলীল। লিটনের ব্যাটিং দেখা সবসময়ই গুড টু ওয়াচ। টাইমিং এত ভালো। আজ ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয়নি কোনও রকম চাপে আছে।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এত সাবলীলভাবে, সহজভাবে বোলারদের মোকাবেলা করেছে, দুর্দান্ত। লিটন কত ভালো খেলোয়াড় আমরা জানি। বিশ্বকাপে রান না করার পরও আমরা জানতাম ওর সামর্থ্য। লিটন সামর্থ্যের তুলনায় সবসময় রান কম করেছে। কিন্তু সে সবসময় সুন্দর খেলে।’
Discussion about this post