নিজস্ব প্রতিবেদক
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও গুচ্ছবিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ২০২০ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণরা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, অক্সফোর্ড থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। তবে শোনা যাচ্ছে আগামীতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের করোনা মহামারীর কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না নিয়েই অষ্টম ও দশম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটা ফল প্রদান করা হয়। করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ২০২০ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শহরের ছাত্র-ছাত্রীরাও নিজের ঠিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি। আবার, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জিপিএ পূর্বের তুলনায় বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থীই পারেনি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহাল রাখার জন্য শ্রদ্ধেয় উপাচার্য মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গুচ্ছ পদ্ধতি না থাকলে ২০টাতে ২০টি পরীক্ষা দেওয়া যেত যার ফলে কোন কারণ বশত একটি পরীক্ষা খারাপ হলেও আরেকটা ভালো করার সুযোগ থাকতো কিন্তু গুচ্ছে সুযোগ একটি পরীক্ষা ই মাত্র। তাছাড়া গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে অনেকেই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ই পায় নি কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতি না থাকলে cou,nstu,sust, আরও অনেক গুলাতে কম জিপিএ নিয়েও অন্তত একটা পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেকে খানিকটা প্রমান করার সুযোগটা পেতো কিন্তু গুচ্ছের সিলেকশন পদ্ধতির কারণে অনেকেই এই সুযোগটুকু পাইনি। তাই গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই ২য়বার সুযোগ থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনে ইতোমধ্যে জবি, ঢাবি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
Discussion about this post