খেলাধূলা ডেস্ক
বছর শেষে সেরা পারফরর্মারদের বেছে নেওয়া ক্রিকইনফোর প্রচলিত রীতি। এবারের সেই বর্ষসেরা পারফর্মারদের মনোনয়ন তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও। মূলত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয় এসব পুরস্কার। ফলে খেলোয়াড় নয়, এখানে মনোনয়ন পায় তাদের নির্দিষ্ট পারফরম্যান্স। সেখানে বর্ষসেরা ওয়ানডে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের করা একটি ইনিংস মনোনয়ন পেয়েছে।
গত মে মাসে লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। তার ওই ইনিংসের কল্যাণেই প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের ওয়ানডে সিরিজে হারানোর কীর্তি গড়ে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাকি ব্যাটাররা সেভাবে অবদানই রাখতে পারেননি। মূলত মুশফিকের ১২৫ রানে ভর করেই ২৪৬ রানের স্কোর পায় স্বাগতিকরা। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে করতে পারে ১৪১ রান।
ওয়ানডের বর্ষসেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্সে আর কোনও বাংলাদেশির স্থান হয়নি। তবে ওয়ানডের বর্ষসেরা বোলিং পারফরম্যান্সে মনোনয়ন পেয়েছে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পারফরম্যান্স।
গত বছর (জানুয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞার শাস্তি শেষে ওটাই ছিল তার প্রথম ম্যাচ। প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করতে বল হাতে ঘূর্ণিজাদু দেখান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ৮ রানে নেন ৪ উইকেট। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে উপহার দেন সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের। ৭.২ ওভারে ২ মেডেনে দিয়েছেন মাত্র ৮ রান। তাতে ৩২.২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজও গুটিয়ে যায় মাত্র ১২২ রানে। তাই সাকিবের এই পারফরম্যান্স বিচারকদের রায়ে জায়গা করে নিয়েছে বর্ষসেরা বোলিং পারফরম্যান্সের মনোনয়ন তালিকায়।
এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মে মাসে হওয়া ওয়ানডে সিরিজের আরেকটি পারফরম্যান্সও জায়গা করে নিয়েছে এই তালিকায়। ঢাকায় প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। বাংলাদেশ ২৫৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল লঙ্কানদের। সফরকারীরা তার জবাবটাও ভালোমতো দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮২ রান। সেখান থেকে মিরাজের বোলিং নৈপুণ্যেই ১০২ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।শেষ পর্যন্ত ৪৮.১ ওভারে শ্রীলঙ্কা করতে পারে ২২৪ রান।
Discussion about this post