নিজস্ব প্রতিবেদক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের অনশন চলাকালীন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে অনশনস্থলে আসেন বেশ কজন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যাষ্ঠ শিক্ষক। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির (উপাচার্যের পদত্যাগ) সঙ্গে একাত্মতা পোষণ না করলে শিক্ষকদের সাথে কোন কথা বলতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মস্তাবুর রহমান, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন রাশেদ তালুকদার, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান, মেডিক্যাল প্রশাসক অধ্যাপক ড. কবীর হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের বক্তব্য ছিল, ক্যাম্পাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে যেই জড়িত থাকবে তাকে সাস্ট থেকে চলে যেতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য তোমাদের কাছে একটু সময় এবং প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাচ্ছি।
অতীতে আমাদের অনেক ভুল হয়েছে আমরা আর ভুল করতে চাই না। আমরা তোমাদের সব দাবি মেনে নিয়ে আবারও একত্রিত হতে চাই। যদি ভিসি গুলির অর্ডার দিয়ে থাকেন তাহলে তার ব্যবস্থা হবে। যদি আমি নিজেও অপরাধ করি তাহলে তারও বিচার হবে।
কিন্তু বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের একদাবিতে অনড়- আর সেটি হলো ভিসির পদত্যাগ।
এদিকে বুধবার বিকেলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। চলমান ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এতে দোষী হলে সরকারের নির্দেশ মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য (ভিসি)।
‘উপাচার্য কোন রকম সংশ্লিষ্ট নয়’ দাবি করে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে। এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, খুবই মর্মাহত।’
Discussion about this post