ক্যারিয়ার ডেস্ক
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রকাশিত প্রথম ধাপের ফলাফলে নাম আসেনি ১২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর। একই সঙ্গে এক লাখ ১৯ হাজার আবেদনকারী প্রথম ধাপে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আসন সীমিত থাকায় ও ভালো মানের কলেজগুলোতে বেশি আবেদন হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে এ তথ্য জানা গেছে।প্রতিবছরের মত এবারও নগরীর খ্যাতিমান সরকারী কলেজগুলোতে সেরাদের সেরারা ঠাঁই করে নেবে। এবারের প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে দেখা যায়,এবার মোট জিপিএ-৫ ধারীর সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯১ জন। কিন্তু এর সিংহভাগই (১১ হাজার ২৯১ জন) বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী।অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরের প্রথম সারির কলেজগুলোতে এ বছর বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা ৩ হাজার ২৮৫টি। বিজ্ঞান শাখায় আসনের তুলনায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন গুণেরও বেশি হওয়ায় ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। যেখানে জিপিএ-৫-প্রাপ্তদের মধ্যেই প্রায় ৮,০০০ জন সুযোগ পাবেনা। সেখানে ৫-এর কম জিপিএধারীদের কথা বলাই বাহুল্য!
তাই এই মুহুর্তে অভিভাবকের একমাত্র চাওয়া সরকারী কলেজে না হলেও ভাল একটি কলেজে সন্তানকে ভর্তি করানো। এক্ষেত্রে চট্টগ্রামের সচেতন অভিভাবকমহলের বিশেষ করে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করে সার্বিক বিচারে এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয় অনুমোদিত এই কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশেষায়িত বিজ্ঞান কলেজ হিসেবে নিজের স্বকীয়তা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। উন্নততর শিক্ষাপরিবেশ,নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ,মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লাসনির্ভর পাঠদান,এস এম এস এলার্টের মাধ্যমে ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, মেধাবী শিক্ষকগণের তৈরী হ্যান্ডনোট, ছাত্রছাত্রীদের নিবিড় পরিচর্যা, দ্রুত সিলেবাস সমাপন, ক্লাস পরীক্ষা, সাপ্তাহিক ও মাসিক পরীক্ষা এবং ফাইনাল পরীক্ষার পূর্বে বোর্ড পরীক্ষার অনুরুপ মডেল টেস্ট গ্রহণ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী পাঠপদ্ধতি নগরীর শিক্ষাংগনে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ (EIIN -১৩৪৭৮০) । এই সুনামের পরম্পরায় একই ট্রাস্টের অধীনে ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয় অনুমোদিত চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ(EIIN-১৩৭৮১১)।
সচেতন একজন অভিভাবক কেন এই কলেজকে বেছে নেবে ?
এই প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ড. মো.জাহেদ খান বলেন ,“ শুধুমাত্র বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে ২০০৯ সাল থেকেই আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করে আসছি।এখানে রয়েছে স্মাটবোর্ড ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দ্বারা পরিচালিত পূর্ণাংগ ডিজিটাল ক্লাসরুম। এইচএসসি-তে পাঠ্যবই এর পাশাপাশি শতভাগ ভালো ফলাফলের জন্য বিষয়ভিত্তিক হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয়। প্রতিটি টার্ম পরীক্ষা শুরুর আগে সিলেবাসে বিদ্যমান অধ্যায়গুলোর সলভশীট,ক্রিয়েটিভ শীট ও নোট সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন ক্লাসে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক দ্বারা ক্লাসেই রিভিশনসহ বুঝানো, শিখানো ও আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এতকিছুর পরও যারা খারাপ ফলাফল করে তাদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার, যেখানে দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা পড়িয়ে পাঠ আদায় করা হয়। ফলে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে হয় না। স্বয়ংক্রিয় Attendance Service এর মাধ্যমে অভিভাবক জানতে পারেন কলেজে তার সন্তানের আগমন ও প্রস্থানের সঠিক সময়। কেবলমাত্র এইচএসসি পাশ নয়,এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি,মেরিন একাডেমিতে সরাসরি ভর্তি, বিদেশে (এমবিবিএস,ইঞ্জিনিয়ারিং,বার-এট-ল) পড়াশুনায় সরাসরি সহযোগিতা করা হয়। এইচএসসি-তেই আমরা সহযোগিতা করব দেশের মেডিকেল / ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পাওয়ার জন্য। এ ছাড়াও জেএফ ট্রাস্ট প্রতি বছর বিনা বেতনে/অর্ধ-বেতনে অসচ্ছ¡ল শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। শিক্ষাবান্ধব এসব পদক্ষেপের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী এইচএসসি তে A\A+ পেয়ে মেডিকেল /ইঞ্জিনিয়ারিং/ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে”।
সাফল্যের সিঁড়ি ঃ একজন সফল মেধাবী সৈয়দা আশরাফুন্নেসার অনুভুতি-“এসএসসি-তে ভালো রেজাল্টের পর ইচ্ছে ছিল সরকারি কলেজে পড়ার। কিন্তু তা আর হল না। অনেক সংশয় নিয়ে বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হই। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিবিড় পরিচর্যার কারণে এসএসসি-র মতো এইচএসসি তেও জিপিএ-৫.০০ নিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাই”। এই কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি তে জিপিএ-৪.৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে হুমাইত আমিন এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ এর ছাত্র এবং ২০২১-এ এইচএসসি তে জিপিএ-৫ পাওয়া মাহফুজ এখন খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী। এরুপ অসংখ্য মেধাবী ছাত্রছাত্রীর গৌরবময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ।
বিশেষ এ্যাপস ও হ্যান্ডনোট ঃ সাফল্যের প্রধান কৌশল সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, “লেখাপড়ার বিষয়ে আমরা কোন ছাড় দেইনা। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমাদের বিশেষ হ্যান্ডনোট। অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও বোর্ড পরীক্ষক শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ প্যানেলের তত্ত¡াবধানে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির আলোকে প্রতিটি বিষয়ে প্রস্তুতকৃত হ্যান্ডনোট ছাত্রছাত্রীদের কাছে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।অধ্যায়ভিত্তিক মানসম্মত প্রিন্টেট হ্যান্ডনোট একমাত্র আমরাই প্রদান করি যাতে ক্রিয়েটিভ সিস্টেম সহজেই আয়ত্ব করে কম সময়ে সিলেবাস শেষ করতে পারে । অন্যদিকে নিজস্ব সার্ভারে রেকর্ড করা অসংখ্য ভিডিও ক্লাস দেয়া আছে আমাদের নিজস্ব CBC APPS , যার মাধ্যমে অতি সহজে ক্লাস রিভিশন করা যায়। সহজবোধ্য ও কৌশলপূর্ণ এই ক্লাস ও নোট অনুসরণ করলে বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার জন্য আর কোন নোট বা গৃহশিক্ষকের প্রয়োজন হবেনা”।
কথা হয় কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সাথে। তারা জানায়,“ আমাদের সহপাঠি যারা সরকারী কলেজে পড়ছে তাদের তুলনায় সিলেবাস সমাপণে আমরা এগিয়ে আছি। করোনার এই সংকটকালেও অনলাইনে এবং বিশেষ এ্যাপসের মাধ্যমে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে নিয়মিত ক্লাস করেছি আমরা। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপিত হয় বলে তা বুঝতে অত্যন্ত সহজ হয়।আর কলেজের তৈরী বিশেষ হ্যান্ডনোট নিঃসন্দেহে পরম পাওয়া! এই নোটগুলো আত্মস্থ করতে পারলে সৃজনশীল পদ্ধতির যে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব।আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো আমাদের অধ্যক্ষ জাহেদ স্যারের রসায়ন ক্লাস। তাঁর ক্লাস করার পর রসায়নে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে স্যারের উপদেশ সত্যিই অতুলনীয়!”
করোনাকালে অনলাইন শিক্ষাসেবা ঃ
এই কলেজটি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাজীবন চলমান রাখতে করোনাকালের সূচনালগ্ন থেকে অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিক শাখার নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান, শ্রেণি পরীক্ষা ও মূল্যায়ন কার্যক্রম অনলাইন প্রযুক্তির মাধ্যমে চালিয়ে আসছে।
অন্যদিকে আমরা বন্দরনগরীর অন্যতম ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনা করে আসছি দীর্ঘদিন ধরে।তাই আমাদের সকল শাখার শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট রুটিন অনুসারে ক্লাস করছে এপ্রিল ২০২১ থেকেই। এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদেও নিজস্ব এ্যাপে ক্লাস শুরু করি।এতে ছাত্রছাত্রীরা ভীষণ উৎসাহ নিয়ে ক্লাস করে এবং নিয়মিত ক্লাসটেস্টেও অংশ নেয়। সুনির্দিষ্ট এসাইনমেন্ট এবং এমসিকিউ ও সৃজনশীল ভিত্তিক প্রশ্নের মাধ্যমে নেয়া হয় বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষা । ফলে যথাসময়ে প্রথম বর্ষের সিলেবাস শেষ হয়েছে এবং সঠিক সময়েই আমরা সিলেবাস শেষ করে নির্বাচনী পরীক্ষা নিই এবং পরীক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সফলতার সাথে।
ঈর্ষণীয় ফলাফলের পাশাপাশি জাতীয় দিবস সমূহ পালন এবং সাংস্কৃতিক ও খেলাধূলা চর্চায়ও কলেজের আয়োজন বেশ প্রশংসনীয়। বিজ্ঞান মেলায় ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ। সবশেষে একথা বলা যায়, তুলনামূলক স্বল্প খরচে অত্যাধুনিক ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ও বিজ্ঞানের জন্য বিশেষায়িত ‘চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে ‘চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ’ মেধাবী প্রজন্মের ক্যারিয়ার বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
অধ্যক্ষের নেতৃত্বে এখানে একটি বিশেষ পরামর্শ সেল গঠন করা হয়েছে, যেখানে ভর্তিজনিত যে কোন জটিলতা এবং সমস্যা নিরসনে অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ পরামর্শ দেবেন। কেননা গত বছরেও কলেজ ভর্তির আবেদনে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রতিবছরের মত এবারও ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়! কোভিড ক্ষতিগ্রস্ত ২০০ জনকে বিনা/হাফ বেতনে পড়ানো হবে এবং ১১০০ নম্বরধারীরা পড়তে পারবে বিনা বেতনে ।
মুক্তি ভবন, ৬৫/এ,চকবাজার (গুলজারের পশ্চিমে), চট্টগ্রাম এই ঠিকানায় এবং ০১৯৭৭-২৯১৮৮৮,০১৮৮২-০২১০৭৬ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে কিংবা Chattogram Biggan College- ফেসবুকে লগইন করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
Discussion about this post