বিনোদন ডেস্ক
এইতো সেদিন শোবিজে এলেন, দেখলেন আর অভিনয়ে নৈপুণ্যে জয় করে নিলেন দর্শক হৃদয়। দেখতে দেখতেই পা রাখলেন অভিনয় ক্যারিয়ারের ১ যুগ পূর্তিতে। বলছিলাম ছোট পর্দার তারকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর কথা, যিনি এখন দেশের সর্বাধিক দর্শকের তারকা। নান্দনিক অভিনয় আর অপূর্ণতাকে পূর্ণতা দিয়ে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও সেরা।
দেশীয় টেলিভিশনের তারকা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বছরজুড়েই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। গত কয়েক বছরে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে নিপুণ অভিনয় করে দর্শকের মনেও জায়গা করে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। পর্দা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে মেহজাবীনের নাম। যদিও তারকাদের ক্ষেত্রে এটি খুবই স্বাভাবিক। এবার আলোচনায় আসলেন নিজের অভিনয়ের ক্যারিয়ার নিয়ে। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছে।
এই পথ চলায় যারা আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন সেসব পরিচালক, সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগী এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সবাই আমাকে তাদের ভালোবাসার চাদরে সবসময় মুড়িয়ে রেখেছেন। এমন ভালোবাসাতেই সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই।
একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০০৯ সালে শোবিজে পা রাখেন মেহজাবীন। এরপর থেকেই টানা কাজ করছেন। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন। তার অধিকাংশ কাজই দর্শক গ্রহণ করছে। তার অভিনীত প্রায় সব নাটকই দর্শক পছন্দের তালিকায় থাকে। সম্প্রতি অভিনয় জীবনের যুগ পূর্তি করেছেন টিভি নাটকে এই সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী।
মেহজাবীন বলেন, ২০০৮ সালের শেষের দিকে মাত্র ৬ মাসের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে থেকে দেশে এসেছিলাম। এখানে আসার পর তেমন বন্ধু-বান্ধব না থাকায় অনেকটা ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল। এরপর মাথায় চিন্তা এলো যদি এখানে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’র কম্পিটিশনে যাওয়া যায় তাহলে হয়তো কিছু বন্ধু পাবো। সেই চিন্তা থেকেই এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে আমি বিজয়ী হই, এটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না তখন!
এই অভিনেত্রীর মতে- আমি কাজেই আমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে চেয়েছি, সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছি। আমি নিজে সমালোচনা করতে পছন্দ করি না, আমার নামে কেউ কিছু বললেও সেসব কানে নেই না। আমি শুধু কাজটাতেই ফোকাস দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। কারণ দিন শেষে কাজটাই কথা বলবে।
এই তারকা বলেন, এরপর বিজ্ঞাপন করলাম এবং তারপরে অভিনয়ে দীর্ঘ পথচলা। আজকের এই অর্জন বা অবস্থান যেটাই বলি তার পেছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। কারণ তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মা আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে যাবার পথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মায়ের প্রতি আমরা ভালোবাসাটা প্রকাশ করতে পারি না তবুও তারা সেটা বোঝেন। আমি ভীষণ ভাগ্যবতী, এমন পরিবারে জন্ম নেওয়ায়। না হলে হয়তো এতদূর আসতে পারতাম না।
মেহজাবীনের ভাষ্য- মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়েও নিয়মিত থাকব, এটা আগে ভাবিনি। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত স্টিলেই ফোকাস দিয়েছি বেশি।
এই অভিনেত্রীর মতে- আমি কাজেই আমার যোগ্যতা প্রমাণ করতে চেয়েছি, সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছি। আমি নিজে সমালোচনা করতে পছন্দ করি না, আমার নামে কেউ কিছু বললেও সেসব কানে নেই না। আমি শুধু কাজটাতেই ফোকাস দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। কারণ দিন শেষে কাজটাই কথা বলবে।
২০১৩ তে শিখর শাহনিয়াত পরিচালিত নাটক ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’ ছিল মেহজাবীন এর জন্য বড় একটি টার্নিং পয়েন্ট। সম্প্রতি ঈদুল আযহা ২০১৭ -এ মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় বড় ছেলে’তে অভিনয় করে আবারও শীর্ষে চলে আসেন এই অভিনেত্রী।
এক যুগের ক্যারিয়ারে যারা পাশে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানান মেহজাবীন- আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এই পথ চলায় যারা আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন সেসব পরিচালক, সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগী এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সবাই আমাকে তাদের ভালোবাসার চাদরে সবসময় মুড়িয়ে রেখেছেন। এমন ভালোবাসাতেই সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই।
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেহজাবীন অভিনীত প্রথম নাটক ছিল ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’। এ নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন মাহফুজ আহমেদ। এরপর তিনি একে একে কাজ করেন ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’, ‘কল সেন্টার’, ‘মেয়ে শুধু তোমার জন্য’, ‘আজও ভালোবাসি মনে মনে’, ‘হাসো আন লিমিটেডসহ’ বেশকিছু নাটকে। ২০১৩ তে শিখর শাহনিয়াত পরিচালিত নাটক ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’ ছিল মেহজাবীন এর জন্য বড় একটি টার্নিং পয়েন্ট। সম্প্রতি ঈদুল আযহা ২০১৭ -এ মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় বড় ছেলে’তে অভিনয় করে আবারও শীর্ষে চলে আসেন এই অভিনেত্রী। দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয় মেহজাবীন ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত বড় ছেলে।
মেহজাবীনের পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে। শৈশবে বেড়ে উঠেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মেহজাবীন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং এর ছাত্রী ছিলেন। ও লেভেলে পড়াশুনা করার সময় তিনি লাক্স সুন্দরী নির্বাচিত হন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
Discussion about this post