খেলাধূলা ডেস্ক
অবিশ্বাস্য এক জয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দীর্ঘ সাত মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটে মিলেছে ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর এক জয়। অভাবনীয় এ জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
আফগানিস্তানের করা ২১৫ রানের জবাবে মাত্র ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে অনেক রেকর্ড গড়ে ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন আফিফ ও মেহেদি। শেষ পর্যন্ত আফিফ ১১৫ বলে ৯৩ ও মিরাজ ১২০ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনেরই এটি ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস।
এ জয়ের পথে সবচেয়ে বড় রেকর্ডটিই হলো তাদের সপ্তম উইকেট জুটির। ওয়ানডে ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে এর চেয়ে বড় রানের জুটি আছে আর মাত্র একটি। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে ১৭৭ রান যোগ করেছিলেন ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদ।
আজ মাত্র ৪ রানের জন্য তাদের ছুঁতে পারেননি আফিফ ও মিরাজ। তবে এ রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও, রান তাড়া করতে নেমে সপ্তম উইকেটে ঠিকই সর্বোচ্চ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন আফিফ ও মিরাজ। এতদিন রেকর্ডটি ছিল ১৩৮ রানের, জস বাটলার ও ক্রিস ওকসের করা।
যেহেতু বিশ্ব রেকর্ডেই দুই নম্বরে উঠে গেছে মিরাজ ও আফিফের এই জুটি, তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের পক্ষেও সপ্তম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এতদিন সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৭ রান যোগ করেছিলেন তারা।
বিশ্ব রেকর্ডে নাম লেখানোর পথে সাত নম্বরে নামা আফিফ খেলেছেন ৯৩ রানের ইনিংস, আট নম্বরে নামা মিরাজের সংগ্রহ অপরাজিত ৮১ রান। এ দুটিই বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড। এতদিন সাত নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দখলে। তিনি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৭৫ রান।
Discussion about this post