নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মহানগরীর মোহরা ৫নং ওয়ার্ডে কবির আহমেদ ফাউন্ডেশন নামে একটি সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। মোহরা এলাকার বাসিন্দা মরহুম কবির আহমেদ একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগী হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন ।এলাকায় জনপ্রিয় এই সমাজসেবকের অসমাপ্ত কাজ চলমান রাখতে তাঁর পুত্র মো: আরিফুর রহমান সাফায়াত এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। মো: আরিফুর রহমান বলেন, নিজের ইচ্ছায় বিনা স্বার্থে অন্যের কল্যাণ সাধন করাই হচ্ছে কবির আহমেদ ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য।
সংগঠনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রথম থেকে আমাদের পরিকল্পনায় থাকছে পুরো বছর জুড়ে বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করা । এর পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষার উপকরণ বিতরণ, এতিমখানার শিশুদের মাঝে পোশাক, খাবার ও কুরআন শরিফ বিতরণ, ঈদে পথশিশুদের এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নতুন জামা কাপড় বিতরণ, বিনামূল্যে রক্তদান , বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং রক্তদানে উৎসাহিত করা, গরীব, অসহায় মানুষদের চিকিৎসার জন্য আার্থিক সাহায্য প্রদান, শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র ও কম্বল বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ফ্রী প্রেসার নির্ণয়, ফ্রী ডায়াবেটিস নির্ণয়, করোনাকালীন সহ যে কোন দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জরুরি ত্রাণ সহায়তা, দরিদ্র পরিবারের জন্য নলকূপ স্থাপন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর লক্ষ্যে কাজ করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন, নতুন প্রজন্মের মেধার বিকাশ ঘটাতে বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন, সমাজের যে কোনো দুর্যোগ-বিপর্যয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা।
মরহুম মো: কবির আহমেদ
কবির আহমেদ ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আরিফুর রহমান সাফায়াত আরও বলেন, আমি বিগত সাত বছর ধরে সেচ্ছাসেবী কাজের সাথে সম্পর্কিত। এতে আমার অনুপ্রেরণা আমার বাবা। অসহায় মানুষের জন্য তার ভাবনা এবং তাদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা, এটা আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করত। আমি চাই সমাজকে নতুন কিছু উপহার দিতে। আমাদের দেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজের তরুণরা স্বেচ্ছাসেবী কাজে এগিয়ে আসছে। তরুণরাই পারে সমাজকে বদলে দিতে। সবসময় চিন্তা ছিল কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করব, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো, স্কুলগামী নয় এমন শিশুদের স্কুলগামী করবো তার স্বপ্ন দেখি। খবরের কাগজ খুললেই চোখে পরে অনেক স্থানে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। অনেক শিশু ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এসব বন্ধের জন্য মানুষকে সচেতন করার স্বপ্ন দেখি। আমার বিশ্বাস সমাজের তরুণরা এগিয়ে আসলে এসব বন্ধ করা সম্ভব হবে। এভাবেই একদিন সফলতা আসবে এবং গড়ে উঠবে সুন্দর আগামী।
পরিশেষে বলতে পারি আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্র সবকিছু সুন্দর ভাবে পরিবর্তন করতে আমাদের সকলের সম্মিলিত ভাবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় সমাজের সকল স্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।
Discussion about this post