অনলাইন ডেস্ক
যশোরের শারীরিক প্রতিবন্ধী অদম্য মেধাবী তামান্না নূরাকে সম্মাননা জানিয়েছে এটুআই (অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট)। এক পায়ে লিখেই এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন তামান্না। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও তিনি একই ফল করেন।
তামান্নার অদম্য প্রচেষ্টা ও মেধার কথা জেনে দেশের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে স্বপ্নপূরণে সহযোগী হওয়ার কথা বলে যুগিয়েছেন অনুপ্রেরণা। এবার তাকে ঢাকায় এনে সম্মাননা জানালো এটুআই। সেই সঙ্গে আরও আট নারীকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এটুআই আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ওই নারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
৯টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পাওয়া ৯ নারী হলেন— কাউসার আক্তার তাহিন (নারী উদ্যোক্তা-ডিজিটাল সেন্টার), শিউলী আক্তার (ই-কমার্স), হোসনে আরা পারভিন (ই-লার্নিং), তাসলিমা বেগম (শিক্ষক বাতায়ন), ফারহানা সাদিকা (কিশোর বাতায়ন), জাইমা জাহিন ওয়ারা (উদ্ভাবন), সাকেরা বানু (নারী উদ্যোক্তা-এসএমই), ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা (হেলথ টেকনোলজি) এবং তামান্না আক্তার নুরা (বিশেষ)।
জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করার ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৌলিক পরিবর্তন আনতে নারীদের সংসদে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা, নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ নারীবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, নারীর প্রতি সম্মান না থাকলে প্রগতিশীল সমাজ গঠন সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য জেন্ডার ইকুয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
জুয়েনা আজিজ বলেন, ই-কমার্সসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তারা যে বিশ্বাসভাজন, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত।
নারীর উন্নয়নে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। কর্মপরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নকে আরও অন্তর্ভুক্তিকরণের অনুরোধ করেন তিনি।
Discussion about this post