খেলাধূলা ডেস্ক
আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ডাক পাওয়ার পরও তাসকিন আহমেদ অনন্য এক নজির স্থাপন করলেন। দেশের স্বার্থে ‘না’ বলে দিলেন এই পেসার। ফলে তার বিকল্প খুঁজে নিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনৌ সুপার জায়ান্ট জিম্বাবুয়ের পেসারকে নিয়ে।
আর্থিক দিক কিংবা বিশ্ব ক্রিকেটে বাড়তি পরিচিতি, তাসকিনের জন্য ছিল এটা অনেক বড় সুযোগ। কিন্তু দেশের জন্য সেই সুযোগ বিসর্জন দিয়েছেন তাসকিন। যদিও অনেকে তো আইপিএলের জন্য দেশের স্বার্থও বিসর্জন দেন। বিশ্ব ক্রিকেটে এখন এটা বাস্তবতা। যা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক চলছে।
অনেকে মনে করছেন, তাসকিন আইপিএলে খেলতে গেলে তার পরিচিতি বাড়তো, বাংলাদেশেরও আরও অনেক খেলোয়াড়ের জন্য ভবিষ্যতে দরজা খুলতো। অনেকে আবার বলছেন, দেশ সবার আগে, ঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছেন তাসকিন।
বাংলাদেশের সর্বকালের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সম। তিনি মনে করছেন, দেশকেই সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
তাসকিন খেলতে যাননি, এ নিয়ে তার মনেও একটা আফসোস থাকতেই পারে। মাশরাফি তাই যেন অনুজকে সাহস জোগালেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাসকিনকে নিয়ে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাশরাফি। জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘সিদ্ধান্ত বোর্ড নিক বা তাসকিন অবশ্যই সিদ্ধান্তটি পজিটিভ মনে হয়েছে কারন, দেশের ক্রিকেটের কমিটমেন্ট সবার আগেই হওয়া উচিত। যদিও পৃথিবী চলছে বিপরীতমুখি এবং তার পক্ষে বা বিপক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করিয়েই। শুধু একটাই খটকা, নিয়ম যাই হোক তা যেন সবার জন্যই প্রযোজ্য হয়। তাহলে দলের সবার মানসিকতা সুন্দর ও সুস্থ থাকবে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে জরুরী।
ভালো খেলতে থাকো তাসকিন, সুযোগ আপনিতেই আসবে। ৩ বছর আগে তোমাকে দলে দেখলে সবার রাগ হতো আর আজ দলে তোমার গুরুত্ব তুমি নিজেই দেখছো।
সব কিছুর মালিক আল্লাহ। আর এ যুদ্ধে তোমার পাশে ছিলো খুব সামান্য কিছু মানুষ। তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিও। দেশের হয়ে মাঠে নেমে নিজেকে নিংড়ে দেও কারন, তোমার মতো হাজারও খেলোয়াড় এই দেশে খেলছে যারা একবার হলেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়। যে সুযোগ আজ আছে কাল হয়তো থাকবে না। তাই তোমার ক্রিকেটের সেরা মূহুর্তগুলো হয়ে উঠুক লাল-সবুজেই।
আল্লাহ তোমার সহায় হোন, আমিন।’
Discussion about this post