খেলাধূলা ডেস্ক
তাসকিন আহমেদ। শুরুটা হয়েছিল ধুমকেতুর মত। এরপর কিছুদিন খেলার পর যেন হারিয়েই গিয়েছিলেন। অফ ফর্ম, ইনজুরি তাসকিনকে ক্রিকেট থেকেই অনেক দুরে সরিয়ে দিয়েছিল।কয়েকবছর আগে তো ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন এই ডানহাতি পেসার। তবুও দমে যাননি তাসকিন। নিজের একাগ্রতা আর পরিশ্রমে হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ পেস বোলিং বিভাগের আস্থার প্রতীক। দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জেতানোর নায়ক তাসকিন।
সংকল্প যখন অটুট থাকে, আর কঠোর অধ্যাবসায় যখন তার সঙ্গে যোগ হয়, তখন যে কোনো কিছু অর্জন করা যে সম্ভব, তা করে দেখিয়েছেন এই ডান হাতি পেসার। আর এবার তো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তার বলে রীতিমত আগুন ঝরেছে।
শেষ ম্যাচে আজ তার বোলিংয়ের সামনে রীতিমত উড়ে গেছে প্রোটিয়ারা। একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সে সুবাধে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পাশাপাশি ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন তাসকিন। ক্যারিয়ারে এই প্রথম ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে নিজের অনুভূতি জানানোর পাশাপাশি কিভাবে এতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন সে রহস্যের কথাও জানালেন তাসকিন।
নিজের অনুভুতি জানিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আমি খুব খুশি ও গর্বিত অনুভব করছি। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম আমরা সিরিজ জিতলাম। এই প্রথম আমি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ম্যান অব দ্য সিরিজ হলাম। আমি খুব গর্বিত ও খুশি।’
নিজের আগ্রাসী রূপের রহস্য জানাতে গিয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে গত দেড় বছর ধরে আমি একই প্রসেস মেনে চলেছি। আজকেও সেটা নিয়েও একই রকম মানসিকতা নিয়ে এসেছি। আজকে ভালোভাবে এক্সিকিউট করতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ, আজকে সফল হয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও ভালো করতে পারবো।’
এখনও আমি সুযোগ পেলে ভাইয়াকে ফোন করি, উনিও সাড়া দেন। ফাস্ট বোলারদের মধ্যে তিনি কিংবদন্তি। আমিও চাইব যেন একসময় বাংলাদেশের লিজেন্ডারি ফাস্ট বোলার হতে পারি এবং এটার জন্য অনেক পথ বাকি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পেস বান্ধব হয়। তো সে জায়গায় উইকেট নিয়েও অনেক খুশি বাংলাদেশের এই ডান হাতি পেসার। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক উপভোগ করেছি। যখন সিরিজ খেলতে এসেছি, তখন থেকে নিজের লেন্থ নিয়ে কাজ করেছি। প্রসেস মেনে চলেছি, সিম্পল ও বেসিক।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষে সিরিজ সেরার পুরস্কার পাওয়া তাসকিন বলছিলেন, ‘যখন খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই আমি মাশরাফি ভাইয়ের বড় ভক্ত। তার সাথে খেলার সৌভাগ্য হয়েছে, তার অধীনে বিশ্বকাপও খেলেছি। এখনও আমি সুযোগ পেলে ভাইয়াকে ফোন করি, উনিও সাড়া দেন। ফাস্ট বোলারদের মধ্যে তিনি কিংবদন্তি। আমিও চাইব যেন একসময় বাংলাদেশের লিজেন্ডারি ফাস্ট বোলার হতে পারি এবং এটার জন্য অনেক পথ বাকি।’
নিজের পরবর্তী লক্ষ্যের কথাও জানালেন তাসকিন। তিনি বলেন, ‘আসলে এটা দারুণ। আমার এখনও শিখতে হবে ফ্ল্যাট ও স্লো উইকেটে কীভাবে পাঁচ উইকেট নিতে হয়! এটাই আমার পরবর্তী লক্ষ্য!’
Discussion about this post