নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি জারি করা এক নোটিশে চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় জানিয়ে ছিলো ‘একজন শিক্ষার্থী ১ম বর্ষ-৪র্থ বর্ষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ ক্রেডিট মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারবে।’ গত ১৯ জুলাই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
অথচ ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষেই ২০ ক্রেডিটের উপর পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ২ আগস্ট অধিভুক্ত সাত কলেজে স্নাতক ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২০ ক্রেডিটের মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশনা স্থগিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে বলা হয়েছে , ১৭-১৮, ১৮-১৯ এবং ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা পাস বিষয় শুধুমাত্র পরের ব্যাচের সাথে এবং “এফ” গ্রেড প্রাপ্ত বিষয় পরবর্তী ২ ব্যাচের সাথে মানোন্নয়ন দিতে পারবে।
স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ১৭-১৮ সেশনের অনেক শিক্ষার্থীরা ২০ ক্রেডিটের নিয়ম মেনে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণ করে টাকাও জমা দিয়েছে। অথচ তাদের বিষয়ে নতুন নোটিশে কোন নির্দেশনা নেই।
যারা স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণ করে টাকাও জমা দিয়েছিলেন তাদের টাকা পেমেন্ট আর দেখাচ্ছে না। আর যারা আজ টাকা জমা দিতে গিয়েছিল তাদেরকে ফর্ম পূরণের টাকা জমা দিতে দেয়নি কলেজ। প্রতি মুহুর্তেই এমন নতুন নতুন সিদ্ধান্তে আঁতকে উঠছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৭ ব্যাচের ছাত্রদের ২বছর পার হয়ে গেছে। নোটিশ অনুযায়ী ২ বছরে ফেইল করা সাবজেক্ট মান উন্নয়ন না হলে ড্রপ আউট বলে বিবেচিত হবে । অথচ আমরা ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েও শেষ করে ফেললাম গতকাল। নোটিশ অনুযায়ী তো আমরা তৃতীয় বর্ষেই ড্রপ আউট!।
মূলত সাত কলেজের জন্য কোন নীতিমালা না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভূগী শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এসব অদ্ভুত সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছে। ছাত্ররা ফরম পূরণ করেছে। অথচ কলেজ কৃর্তৃপক্ষ টাকা জমা নিচ্ছেন না। যারা টাকা জমা দিয়েছিল তাদের টাকা আর পেমেন্টে দেখাচ্ছে না।
ঢাকা কলেজের মাহাদী হাসান জানান, আমরা আজকে চলমান সমস্যা নিয়ে ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হকের সাথে দেখা করি এবং লিখিত আবেদন জমা দেই। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু ইতোমধ্যে অধিকাংশ কলেজগুলোতে ও ফরম ফিলাপের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকে টাকা জমা দিয়েছে কিন্তু ৩ আগষ্ট প্রকাশিত নোটিশের কারনে অনেক ডিপার্টমেন্ট থেকে বলা হচ্ছে সে টাকা জমা দেওয়ার পরও পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং টাকার কোন দায় ডিপার্টমেন্ট নিবে না। দ্রুত কাজ করতে হবে যেহেতু ফরম ফিলাপের সময় ৫ আগষ্ট শেষ।
ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ম্যাডামের সাথেও আমরা দেখা করবো্ কোন সিদ্ধান্ত না আসলে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
Discussion about this post