নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাপানি শিক্ষা মেথড কুমন দেশে ছড়িয়ে দিতে আগামী বছর থেকে আইসিটি বিভাগের ৩০০টি স্কুল অভ্ ফিউচারে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিটি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবেও চালু করা হবে আনন্দদায়ক এই শিক্ষা।
আজ শনিবার সাভারের বিরুলিয়ায় ব্র্যাক সিডিএম এ জাপানি শিক্ষা মেথড ‘ব্র্যাক কুমন’ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক বিজয়ী এবং অন্যান্যের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী গানে গানে শিশুদের জন্য সবুজ বাগান গড়ে তোলার প্রত্যয় জানিয়ে বিরুলিয়ার বিসিডিএম সেন্টারে কুমন জয়ীদের অনুপ্রাণিত করেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারওয়াত আবেদ।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানি নাগরিক তরু কুমন ‘কুমন’ পদ্ধতির প্রবক্তা। তার ছেলে তাকেশি গণিতে দুর্বল ছিলেন বলে তার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ গণিত শিক্ষক ১৯৫৮ সালে অভিনব এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সহজে গণিত ও ইংরেজি শিক্ষা লাভ করতে পারে। বিভিন্ন ধাপ বা লেভেলে শিক্ষার্থীরা ক্রমান্বয়ে এ পদ্ধতিতে এগিয়ে যায়। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশের ৪০ লাখ শিক্ষার্থী কুমন পদ্ধতিতে গণিত ও ইংরেজিতে দক্ষতা লাভ করছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আমি আশা করছি জাপানি কুমন ম্যাথডের শিক্ষা পদ্ধতিটি জাতীয় পাঠ্যক্রমেও গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যৎ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে মডেল হিসেবে প্রমাণিত হবে বলেও তিনি জানান। অনুষ্ঠানে ‘সত্য সুন্দর’ রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত শিশুদের উৎসাহিত করেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয় ব্র্যাকের সহায়তায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফ্যাবলেট আর সাইলেন্স পেনের মাধ্যমে সম্প্রতি চট্টগ্রামের হালুয়াঘাটেও শুরু হয়েছে এ জাপানি শিক্ষা মেথড ডিজিটাল কুমন।
উল্লেখ্য, দেশের ৪টি ব্র্যাক কুমন স্কুলের ৮৪ জনকে স্বর্ণপদকসহ ৩৩০ জনকে বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
Discussion about this post