খেলাধূলা ডেস্ক
কিলিয়ান এমবাপ্পে যেভাবে পারফর্ম করছেন, তাতেেএই প্রশ্ন না উঠেই পারে না। তিনি ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় পেলে হতে যাচ্ছেন কিনা? কাতার বিশ্বকাপে এর আগেই তিন গোল করে ফেলেছিলেন তিনি, করলেন গত রাতেও, তাও একটা নয়, দুটো। তাতেই তিনি আলো কাড়লেন, পেছনে ফেলেছেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ডও।
দিদিয়ের দেশম শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সেরা একাদশের ওপর ভরসা রেখেছিলেন। এমবাপ্পে-জিরুদরা দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে পোলিশদের ব্যাকফুটে ফেলে দেন। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে যেন এমবাপ্পে ছিলেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। তিন গোলের দুটি তো করেছেনই অন্যটিতে করেছেন সহায়তা।
এমবাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল শুরু থেকেই খেলেছেন দুর্দান্ত। সতীর্থ অলিভিয়ের জিরুর রেকর্ড ভাঙা গোলে যোগান দিয়েছেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে এসে নিজেও করেছেন চমৎকার এক গোল। ৭৪ মিনিটে তিনি বক্সের কাছে বল পেয়ে যান, এরপর আগুনে এক শটে করেন গোল।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ মিনিটে গোলটি করে রেকর্ডও গড়েছেন। বিশ্বকাপে সবমিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ৮টি। অথচ মাত্র ২০১৮ বিশ্বকাপ দিয়ে অভিষেক হয়েছে এই স্ট্রাইকারের। এছাড়া বয়স ২৪ হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড পেলেকে (৭) ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষে চলে এসেছেন। এই বয়সে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা ছিল ব্রাজিল কিংবদন্তির, তিনি করেছিলেন ৭ গোল। ক্যারিয়ারের অষ্টম বিশ্বকাপ গোলটা করে পেলের সে রেকর্ডটাকে তিনি পাঠিয়েছেন জাদুঘরে।
এরপর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে তিনি করেছেন আরও একটি গোল। বলটা তিনি পেয়েছিলেন প্রথম গোলের জায়গাতেই। তবে এবার আর শক্তিতে মনোযোগ দেননি। দারুণ এক বাঁকানো শটে পরাস্ত করেন পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চেখ সজেসনিকে।
ম্যাচে নিজেদের দ্বিতীয় গোলে লিওনেল মেসির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এমবাপে। মেসির ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ গোল এখন ৯টি। এমবাপেরও গোল সমান। তবে মেসির সঙ্গে তার বড় পার্থক্যটা হচ্ছে, নয় গোল করতে মেসিকে খেলতে হয়েছে ৫টি বিশ্বকাপ। সেখানে এমবাপে দ্বিতীয় বিশ্বকাপেই এতগুলো গোল করে বসেছেন।
Discussion about this post