নিজস্ব প্রতিবেদক
বিলুপ্তপ্রায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ধারণ করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাউথ এশিয়ান স্কুল পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। চট্টগ্রামের প্যানেল মেয়র মোঃগিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে গত ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড.গাজী গোলাম মাওলা, পরিচালক (কলেজ),মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল।বিশেষ অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন ড.মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন শিশির, শিক্ষক প্রশিক্ষক,টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম। প্রধান শিক্ষক সৈয়দ লকিতুল্লাহর সভাপতিত্বে সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সালেহউদ্দিন। স্কুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথেসাথে অভিভাবক এবং অন্যান্য শুভানুধ্যায়ীগণও সমবেত হন।
শীতের সকালে শীতল আমেজে ভাপা পিঠা, চুঙা পিঠা, বিরইন চালের পিঠা, মুগপুলি পিঠা, কলসি পিঠা, চন্দ্র পুলি, চিতই পিঠা, মুখশালা পিঠা, শাড়ী পিঠা, পোস্ত দানা পিঠা, নকশা পিঠা, দুধ পুলি,পাটিসাপটাসহ হরেক রকমের মিষ্টান্নের সমাহার ছিলো সত্যিই মনমুগ্ধকর।সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে রসনাবিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অতিথি এবং শিক্ষার্থীরা। ছোট্টসোণামনিরা অনেকেই ওদের জীবনে প্রথম দেখা পিঠাপুলি খেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে।
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ লকিতুল্লাহ বলেন, পিঠাপুলির সাথে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। নগর জীবনের প্রভাবে আজ আমরা ভুলতে বসেছি গ্রামীণ ঐতিহ্য পিঠা , পায়েস , পুলির কথা। আর আমাদের এই অতীত ঐতিহ্যকে শিশুদের কাছে তুলে ধরতে এই আয়োজন।
Discussion about this post