নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ ফেব্রুয়ারির মহান ভাষা শহীদগণকে স্মরণ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ।সকালে প্রভাত ফেরীতে অংশগ্রহণ করেন স্কুলের শিক্ষকগণ ও ছাত্রছাত্রীরা। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী- অমর এই গানের ছন্দে পায়ে হেঁটে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম কলেজের শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
এরপর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীরা রংতুলিতে মেলে ধরে মহান একুশের ইতহাস। চিত্রাংকন শেষে শুরু হয় পোস্টার লিখন প্রতিযোগিতা।শৈল্পিক হস্তাক্ষরে মহান একুশের ঐতিহাসিক সব স্লোগান ফুটিয়ে তোলে দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মরা।
এরপর অধ্যক্ষ হাবিব রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিথিবৃন্দ।
অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মনের অন্তঃস্থলে লুকিয়ে থাকা ভাবকে ছুঁয়ে প্রকাশ করে যে ভাষা, তার সাথে যে আবেগ জড়িয়ে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। মানুষের সেই আবেগকে, প্রত্যেকের মাতৃভাষার সাথে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস তথা মহান সংস্কৃতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশ্যে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য রক্ত আমরা ছাড়া পৃথিবীতে কেউ দেয়নি। আমাদের মনে রাখা দরকার, নিজের মাতৃভাষাকে ভালো না বাসলে কোন মানুষ পৃথিবীর অন্য কোন ভাষাকে আদর্শরূপে আয়ত্ত করতে পারে না।
উপাধক্ষ্য মো: সিকান্দার বলেন, মাতৃভাষা হল মায়ের ভাষা। মা যেমন তার সন্তানকে স্নেহের বন্ধনে আগলে রাখে, তেমনি মাতৃভাষাও একটি নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে ইতিহাসের স্নিগ্ধ বন্ধনে জড়িয়ে রাখে। সেজন্যেই মাতৃভাষা আমাদের সকলের কাছে পরম আবেগের। নিজেদের এই আবেগকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।বাংলা ভাষাকে শুদ্ধভাবে লিখতে ও বলতে প্রচেষ্টা থাকতে হবে। বাংলা চর্চাকে নির্দিষ্ট একটি দিনে আবদ্ধ না রেখে সারাবছর এ চর্চা চলিয়ে যেতে হবে।
আলোচনা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
Discussion about this post