খেলাধূলা ডেস্ক
বিশ্বকাপ জয় করেছেন, হাতে উঠেছে কোপা আমেরিকা থেকে শুরু করে ক্লাব পর্যায়ের সব ধরনের শিরোপা। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে টাইব্রেকার নামক এতটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির কখনো মুখোমুখি হবেন কি না, তা হয়তো ভাবতেও পারেননি ফুটবল যাদুকর মেসি !।
মেসি এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকেই টানা গোল করেছেন। লক্ষ্য ছিল দলের শিরোপা জয়। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ২৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন দারুণ এক গোলে। ৭ ম্যাচে যা ছিল তার দশম। সতীর্থ রবার্ট টেইলরের পাস ব্লক হলে সেটি এসে পড়ে মেসির পায়ের সামনে। তার পর ড্রিবল করে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জালে বল পাঠিয়েছেন। ৫৭ মিনিটে অবশ্য সমতা ফেরায় ন্যাশভিলে। গোলটি করেছেন ফাফা পিকাউল্ট। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর ৭১ মিনিটে সুযোগ ছিল একই অবস্থান থেকে জাল কাঁপানোর। দুর্ভাগ্য সেটি আঘাত করে পোস্টে।
এরপর ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় খেলার ৯০ মিনিট। অতিরিক্ত সময়েও অবিচ্ছিন্ন করা যায়নি দুই দলকে। তাই আশ্রয় নিতে হয় টাইব্রেকারের। টাইব্রেকারের সাডেন ডেথে একে একে প্রতিটি শটই জড়িয়ে যাচ্ছিলো জালে। দুই পক্ষের কারোরই যেন থামার কোনো লক্ষণ নেই।স্পটকিক থেকে মায়ামির হয়ে প্রথম শটেই বল জালে ফেলেন মেসি। প্রথম শটে গোল পায় নাশভিলেও, তবে দ্বিতীয় শটে মিস করে তারা। টানা চার শটে গোলের দেখা পাওয়া মায়ামি হোঁচট খায় পঞ্চম শটে গিয়ে। মিস করে বসেন ভিক্টর উল্লোয়া। এরপর খেলা গিয়ে ঠেকে ১১তম শটে। যেখানে নাশভিলে গোলরক্ষকের শট ঠেকিয়ে দেন ড্রেক ক্যালেন্ডার। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মায়ামি।
৭ ম্যাচে ১০ গোল করায় আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটি অনুমিতভাবেই ওঠে মেসির হাতে। ব্যক্তিগতভাবে আরও অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিগস কাপ জিতে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক সতীর্থ দানি আলভেসকে। এটি তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপা।
Discussion about this post