খেলাধূলা ডেস্ক
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় রাচিন রবীন্দ্রর। আর প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করার নজির গড়েছেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে দেখে মনেই হয়নি যে তিনি তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলছেন। এতটাই আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তাঁকে। আর সেই আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে তাঁর ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৮২ বলে এদিন শতরান করে এই নজির গড়লেন তিনি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে অভিষেকেই নবীনতম ক্রিকেটার হিসাবে শতরান করার নজির রয়েছে ভারতের বিরাট কোহলির। তিনি মাত্র ২২ বছর ১০৬ দিন বয়সে ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন। ২৩ বছর ৩০১ দিনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৯৯২ বিশ্বকাপে শতরান করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। তালিকায় তৃতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছেন রাচিন। তিনি আমদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩ বছর ৩২১ দিন বয়সে করলেন শতরান।তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আর এক নিউজিল্যান্ড ব্যাটার নাথান অ্যাসেল।১৯৯৬ সালে আমদাবাদেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪ বছর ১৫২ দিন বয়সে শতরান করেছিলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২৫ বছর ২৫০ দিন বয়সে শতরান করে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ডেভিড মিলার।
গতকালও পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করেছেন নিউজিল্যান্ডের টপঅর্ডারের এই ব্যাটার। এই সেঞ্চুরি দিয়ে বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র। অভিষেক বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে রাচিনের এখন তিনটি শতরান। এর আগে এই কৃতিত্ব আর কারও ছিল না।
চলমান বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতরান করেন রাচিন। ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ১১৬ রান। আর গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলেছেন ১০৮ রান। তাতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তিনটি সেঞ্চুরির তিনটিই এবারের বিশ্বকাপে পেয়ে গেছেন রবীন্দ্র। এতে কিউইদের বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার। তিন সেঞ্চুরি করে রাচিন টপকে যান কেন উইলিয়ামসন (২০১৯ সাল), মার্টিন গাপটিল (২০১৫ সাল) ও গ্লেন টার্নারকে (১৯৭৫ সাল)। তারা প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের একটি সংস্করণে দুটি করে শতরান হাঁকিয়েছিলেন। রাচিন বিশ্বকাপে দুই সেঞ্চুরি করা কিউইদের ৬ ব্যাটারকেও পেছনে ফেলেছেন। নাথান অ্যাস্টলে, স্টিফেন ফ্লেমিং, মার্টিন গাপটিল, স্কট স্টাইরিস, গ্লেন টার্নার ও কেন উইলিয়ামসন; তারা প্রত্যেকেই বিশ্বকাপে দুটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
এ ছাড়া পাকিস্তানি বোলারদের পিটিয়ে কিউইদের হয়ে এক বিশ্বকাপে ৫০০ রান করা তৃতীয় ব্যাটার হয়ে গেলেন রাচিন। তাঁর আগে আছেন মার্টিন গাপটিল (২০১৫ বিশ্বকাপে ৫৪৭ রান) এবং কেন উইলিয়ামসন (২০১৯ বিশ্বকাপে ৫৭৮ রান)। চলমান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫২৩ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন রাচিন।
পাশাপাশি ওডিআই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে যে কোনও উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ারও নজির গড়েছেন তিনি এবং কনওয়ে। এদিন ডেভন কনওয়েও ১৫২ রানের একটি অপরাজিত অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছেন। মাত্র ১২১ বলে এই রান করেছেন তিনি। আর এর ফলেই ম্যাচে ৮২ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড দল।
Discussion about this post