শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজনের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এবার ভর্তি নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে।
আগামী সোমবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্টেক হোল্ডারদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সভা শেষে নীতিমালার সংস্কারের খসড়া তৈরি করা হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য তৈরিকৃত নীতিমালাটি এবার সংস্কার করা হবে। বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন প্রক্রিয়ায় ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে বলে মেডিকেল কলেজগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন:আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে ‘এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা’
ঢাবি-বুয়েটে ভর্তি চলাকালীন মাইগ্রেশন:
সরকারি মেডিকেলে ভর্তির পর অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মেডিকেলের মাইগ্রেশন দেওয়া হত। তবে এবার ঢাবি এবং বুয়েটের ভর্তি চলাকালীন মাইগ্রেশন সম্পন্ন করা হবে। নীতিমালায় এ বিষয়টি সংস্কার করা হবে।
সর্বনিম্ন পছন্দক্রম ৫/১০টি:
বেসরকারি মেডিকেলে শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমের বিষয়টি সংস্কার করা হবে। ভর্তির মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বনিম্ন ৫ অথবা ১০টি পছন্দক্রম দিতে হবে। সর্বোচ্চ পছন্দক্রমে সবগুলো মেডিকেল কলেজই দেওয়া যাবে।
অটোমাইগ্রেশন বন্ধের সুযোগ আসছে:
মেডিকেলে অটোমাইগ্রেশনের কারণে একজন শিক্ষার্থীকে দেশের যে কোনো মেডিকেলে পড়তে বাধ্য করা হত বলে অভিযোগ ছিল। মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করার সুযোগ ছিল না। যতবার মাইগ্রেশন হবে ততবারই শিক্ষার্থীদের মেডিকেল পরিবর্তন করতে হত। এটি থেকে বেরিয়ে আসছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তির যেকোনো পর্যায়ে মাইগ্রেশন বন্ধ করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
দরিদ্র কোটা নির্ধারণে আসছে পরিবর্তন:
সাধারণত তথ্য গোপন করে বেসরকারি মেডিকেলের দরিদ্র কোটায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার অভিযোগ পুরোনো বিষয়। দরিদ্র কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে আলাদা ৫০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে ২১ নম্বর মেধার জন্য এবং ২৯ নম্বর থাকে অ্যাসেট থেকে। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ২৯ নম্বরের অ্যাসেট নির্ধারিত হবে বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে। এর মধ্যে ভিজিএফ কার্ডধারী, এতিম, নদী ভাঙন এলাকা, সরকারের ১৬তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানদের প্রধান্য দেওয়া হবে। প্রকৃত মেধাবী এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ করে দিতেই এই সংস্কার করা হবে।
Discussion about this post