শিক্ষার আলো ডেস্ক
খাঁচার মধ্যে আটকে থাকা ১০টি পাখিকে আকাশে অবমুক্ত করে দিয়েছেন প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন ‘ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের’ কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়।
সংগঠনটির কর্মীরা রাজধানীর টঙ্গী কলেজগেট ও সাভারের পলাশবাড়ির বিভিন্ন পাখির দোকান থাকা অবৈধভাবে রাখা এসব পাখি উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে দুটি মদনা টিয়া, চারটি সবুজ টিয়া, দুটি মুনিয়া ও দুটি সরালি ছিল।
পাখিগুলো উদ্ধার করেন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান, সংগঠনের কর্মী ইফতিকার মাহমুদ, সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া, মাহমুদুল হাসান তালুকদার, তাসবিন সাকিব, নিলয় হাসান ও তাজরিয়ান আলম নিলি ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানা লিজা।
পাখি অবমুক্তের সময় উপস্থিত ছিলেন পাখি গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল হাসান খান।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী দেশি পাখি শিকার, সংগ্রহ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন করা অপরাধ হিসেব গণ্য। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাস কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।
Discussion about this post