অনলাইন ডেস্ক
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের জন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ৩৫০টি, কুড়িগ্রামে ১৫০টি ও নেত্রকোনায় ১টি ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ঘর নির্মাণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩৫০টি ঘর নির্মাণের জন্য শুক্রবার ছুটে যান ফারাজ করিম চৌধুরী। ঘর নির্মাণের সামগ্রী হিসেবে ইতোমধ্যে ৭ হাজার পিস ঢেউটিন ও ৫ হাজার পিস বাঁশ সরবরাহ করেছেন তিনি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব সামগ্রী তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবিরের কাছে হস্তান্তর করেন ফারাজ করিম চৌধুরী।
হস্তান্তর শেষে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামসহ বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বিধ্বস্ত ঘর পরিদর্শন করেন ফারাজ করিম চৌধুরী৷
এ প্রসঙ্গে ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের এত বড় বড় সব মানবিক কার্যক্রম দেশের সাধারণ মানুষই করেছে। এখানে সাধারণ মানুষের টাকা রয়েছে, কোনো ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত নয়৷ আমরা যাতে আগামীতে আরো বেশি কাজ করতে পারি এজন্য দোয়া চাই।
জানা যায়, ব্যক্তি উদ্যোগে এত বেশি পরিমাণ ঘর নির্মাণের উদ্যোগ সর্বোচ্চ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ইতোপূর্বে আর কেউ এত বেশি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেননি। ফারাজ করিম চৌধুরীর এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষ।
বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকে পুরোদমে এগিয়ে আসা এই মানবিক তরুণ ইতোমধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় ৫০ হাজার পরিবারের কাছে ত্রাণ সরবরাহের পাশাপাশি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০০টি গরু জবাই করে ১০ হাজার মানুষের কাছে মাংস বিতরণ করেছেন। তার এই কর্মসূচিতে খরচ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
Discussion about this post