শিক্ষার আলো ডেস্ক
গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টিকে উচ্চশিক্ষার অন্যতম মূল লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন পিএইচডি গবেষকরা। যদিও দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি গবেষণার কোনো সুযোগ নেই। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতিনির্ধারকদের দীর্ঘদিনের দাবি, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়াতে পিএইচডির প্রোগ্রাম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে।
গত দুয়েক বছরে এ দাবি বেশ জোরদার হয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে সভা-সেমিনারে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের অন্যান্য নীতি নির্ধারকরাও। সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষার তদারক এ সংস্থাটি!
ইউজিসি সূত্র বলছে, বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর প্রস্তাবনায় সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে কমিশনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। সে আলোকে ইতোমধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম পরিচালনায় নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে কমিশন। ওই কমিটি নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রাম পরিচালনার সার্বিক রূপরেখা নির্ধারণ করবে।
নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দকে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি একটি কাঠামো তৈরি করবে। সেই কাঠামোর আলোকে পরবর্তীতে বিষয়গুলো প্রণয়ন ও চূড়ান্ত করা হবে।
তবে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার জন্য মানসম্মত ও যোগ্য শিক্ষক রয়েছে এবং গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে, তাদের এ সুযোগ দেওয়া হবে।
Discussion about this post