শিক্ষার আলো ডেস্ক
বিশ্বব্যাপী সিমেন্ট তৈরিতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।সিমেন্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। গ্রিন হাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন বৈশ্বিক উষ্ণায়নে সবচেয়ে বেশি দায়ী হিসেবে ধরা হয়।
২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নিজস্ব সম্পদ ব্যয় করে ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করেছে। তাই বহুদিন ধরে সিমেন্টের পরিমাণ কমিয়ে অন্যান্য উপাদান ব্যবহার করে মানসম্মত কনক্রিট তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চুয়েটের একদল গবেষক।
এই বিষয়কে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ‘ধানের তুষ থেকে সিমেন্টের বিকল্প’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) গবেষণা প্রকল্পের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে পুরকৌশল বিভাগের সভাকক্ষে সেমিনারটি আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুনঃ মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা সহকারী নাদিরা ইসলাম নীলা। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী সিমেন্ট তৈরিতে ৭ থেকে ১০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হয়। অপরদিকে ধানের তুষ রেখে দিলে তা সহজে পঁচে না। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়।
এই কারণে ধানের তুষকে নিয়ন্ত্রিতভাবে পুড়িয়ে এর থেকে ‘ন্যানো সিলিকা’ সংগ্রহ করে সিমেন্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার জন্য গবেষণাগারে পরীক্ষা করে চমৎকার ফলাফল পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টের গবেষকরা।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের চারপাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অনেক উপাদান আছে, সেই উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করে কাজে লাগাতে হবে।
Discussion about this post