শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর উপ-উপচার্য ও ঢাবির উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বর্তমানে তিনি বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর প্রো-ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩০তম উপাচার্য হলেন।
আরও পড়ুনঃ টিএসসিতে মানবতার ঢল, বন্যার্তদের জন্য অভূতপূর্ব সাড়া !
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এবং ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সিনিয়র একাডেমিক অ্যাডভাইজার। বাংলাদেশ ট্রপিক্যাল ফরেস্ট কনজারভেশন (অরণনায়ক) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ওয়েলস) সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা করেছেন।
তার কর্মজীবনে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে অর্জিত একাডেমিক এবং অনুশীলন উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার একটি সমৃদ্ধ মিশ্রণ প্রতিফলিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (বিশ্বের বৃহত্তম পরিবেশগত নেটওয়ার্ক সংস্থা) এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তার পূর্ববর্তী কয়েকটি পদের মধ্যে রয়েছে: সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, ইউএনডিপি-বাংলাদেশ; বন ও প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ (আরইটিএ ৫৯০০), এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), সাউথ এশিয়ান ফেলো, কুইন এলিজাবেথ হাউস, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়; বিশিষ্ট ভিজিটিং গবেষক, কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়; ব্যবস্থাপক (অপারেশন্স), পিকেএসএফ; এবং ডিস্টিংগুইশড ভিজিটিং প্রফেসর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এইউডব্লিউ)।
তিনি দু’শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের রচয়িতা। তার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশে এবং দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক রয়েছেন।
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলা লোহাগাড়া উপজেলার বিখ্যাত চুনতি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান ও অবিভক্ত ভারতের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। এ কারণে, অত্র এলাকায় তাদের বাড়িটি ‘ডেপুটি বাড়ি’ হিসেবে বিশেষ পরিচিত লাভ করে। অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং গত শতকের ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ইউরোপের সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিস্টিংশনসহ ডি.এস.সি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআই আর) এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন পাকিস্তান সুপিরিয়র ফরেস্ট সার্ভিসে, পরবর্তীতে বিসিএস (বন) যোগদান করেন এবং বন সংরক্ষক হিসেবে চাকুরীরতা অবস্থায় ১৯৯২ সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ইনস্টিটিউট অফ ফরেস্ট্রি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
Discussion about this post