শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নানা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন থেকেই পৃথক হয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন একদল শিক্ষার্থী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ কলেজের একদল শিক্ষার্থী পুনরায় এই দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এবার তারা ৭ কলেজ নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবি জানাচ্ছেন।
গতকাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭ কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে আগামী বুধবার, ২৩ অক্টোবর আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি হলো– ১. সাত কলেজ নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য দ্রুত সংস্কার কমিটি গঠন করতে হবে;
২. সংস্কার কমিটি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করবে।
৩. সংস্কার কমিটি বর্তমান কাঠামো সচল রাখতে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে, যাতে শিক্ষার্থীদের সেশন জটিলতার পরিবেশ তৈরি না হয়।
আরও পড়ুনঃ ঢাবির শূন্য আসনে বিশেষ মাইগ্রেশনের সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস বলছে, অধিভুক্ত হওয়ার পর সাত কলেজের মানোন্নয়ন হয়েছে। প্রতিবছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই সাত কলেজে সেশনজট নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে কলেজের অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশনের যে দাবি তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গে যায় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সবশেষ সভায় এই সাত কলেজের জন্য আলাদা ইউনিট করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এ বিষয়ে অগ্রগতি নেই।
অধিভুক্ত সাতটি কলেজ হলো– ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
Discussion about this post