শিক্ষার আলো ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতিবছর দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের চার কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা ও বৃত্তি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী।
শনিবার (১৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইফতার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি বিগত সরকারের আমলে লুটেরাদের কবলে পড়েছিল। দখলের শিকার হয়েছিল।
তিনি জানান, চীন, নেপাল, শ্রীলংকা, নাইজেরিয়া, সোমালিয়াসহ দেশ-বিদেশের ১১ হাজার শিক্ষার্থীর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদে ১৪টি বিভাগ রয়েছে। ৪৮৩ জন শিক্ষক ৫০ একর জমির ওপর নিজস্ব ক্যাম্পাসে ৪২টি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ২ হাজার ৩২৯টি জার্নাল, ১ লাখ ১৪১টি বই, সাড়ে ৩৫ হাজার ই-জার্নাল, ৪৫ লাখ ই-থিসিসে এক্সেস ও নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর লাইব্রেরি নিয়ে সমৃদ্ধ এ বিশ্বিবদ্যালয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি ১৬ বছর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিল একজন তথাকথিত এমপি। তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ যে ক্ষতি করেছে তার বিচার চাই।
তিনি জানান, নগরের বহদ্দারহাটে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা আছে।
ট্রেজারার ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোসর আবু রেজা সপরিবারে প্রতিমাসে ১৫ লাখ টাকা করে তুলেছে। লুটপাট করেছে। দুইটি লিফট কিনেছে ১ কোটি টাকায়। সেই লিফটের খোঁজ পাইনি। ক্যাম্পাসের গাছ, জমি বিক্রি করে খেয়েছে। ১০০ কোটি টাকার দায় আমাদের মাথার ওপর রেখে গেছে।
উপস্থিত ছিলেন দৈনিক কর্ণফুলী সম্পাদক আফসার উদ্দিন চৌধুরী, আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য জাফর সাদেক, রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম (অব.), প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, ড. রিয়াজ মাহমুদ, ড. সাইফুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, প্রক্টর মোস্তফা মনির প্রমুখ।
আইআইইউসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোসতাক খন্দকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল আলম।
Discussion about this post