শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) লেভেল-১ স্নাতক কোর্সে ভর্তির জন্য আসন শূন্য রয়েছে। এসব আসন পূরণে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই আসন খালি থাকা পর্যন্ত তাদের ভর্তি নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর লেভেল-১ স্নাতক কোর্সের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা হতে ৯ ও ১০ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তাদের প্রাপ্ত বিভাগ ও বিভাগওয়ারী খালি আসনের সংখ্যা ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (admissioncuet.ac.bd) দেওয়া হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ভর্তির পর আসন খালি থাকায় নির্ধারিত মেধাক্রমধারী প্রার্থীদের আগামী ২৩ এপ্রিল ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির নিকট উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হলো।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগসমূহের মেধা তালিকামেধাক্রম: ১৫০১ থেকে ২৫০০ এবং স্থাপত্য বিভাগের মেধাক্রম ১০১ থেকে ১৫০ পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত থাকতে হবে।
ভর্তিচ্ছুদের করণীয়-
উপরোক্ত ছকে মেধাক্রমধারী প্রার্থীদের https://admissioncuet.ac.bd লিংকে প্রবেশ করে Login করতে হবে। পূর্বে পূরণকৃত ‘Online Choice Form’ এবং Dashboard এ নির্দেশিত অন্যান্য সব ফরম download পূর্বক পূরণ করে প্রিন্টেড কপি ভর্তির সময় নিয়ে আসতে হবে। উল্লেখ্য যে, প্রার্থী যদি Online Choice Form পূর্বে পূরণ করে না থাকেন, তবে ভর্তির দিন তা পূরণের সুযোগ পাবেন। নিরীক্ষা কমিটি দ্বারা শিক্ষার্থীদের সনদপত্র যাচাইপূর্বক জমাদানের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
পরের দিন (২৪ এপ্রিল) সকালে প্রাপ্ত বিভাগ দেখে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা সোনালী ব্যাংক, চুয়েট শাখায় বিকাল ৩টার মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে কোন প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে একই দিন ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে ব্যাংকে জমা দিতে পারবে।
ভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই নিম্নবর্ণিত সনদপত্রাদি নিরীক্ষা কমিটির নিকট দাখিল করতে হবে-
২. মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার গ্রেডশীট এর মূলকপি।
৩. শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড।
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার প্রশংসাপত্রের মূলকপি।
৬. সদ্য তোলা (অনধিক তিন মাস) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
৭. স্বাক্ষর সম্বলিত ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
আরো পড়ুন:
৮. সংরক্ষিত আসনে ভর্তির জন্য রাখাইন সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর (উপজাতি) প্রার্থীদের বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা এবং উপজাতিয়তার প্রমাণ স্বরুপ (১) জেলা প্রশাসক/স্থানীয় পৌরসভা/জেলা পরিষদ/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং (২) উপজাতীয় মোড়লের নিকট থেকে দু’টি মূল সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে। এছাড়া যে কলেজ থেকে পাস করেছে সে কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত উপজাতীয়তার প্রমাণের সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) প্রদান করতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে–
Discussion about this post