মতিউর তানিফ
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের ‘আইকিএসি’র পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দিনব্যাপী স্টাডি ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইকিউএসি’র উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে দেশের ১৩টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আইকিউএসি পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ মোট ২২ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ৪ জন
ব্যাক কর্মকর্তা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা
ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন এবং আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল
আজাদ, ব্যাক সদস্য প্রফেসর ড. মো: গোলাম শাহি আলম বক্তব্য রাখেন। এতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের
মাধ্যমে গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইকিএসি’র কর্মকাণ্ডে বিস্তারিত তুলে ধরে আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো.
সাইফুল আজাদ। এছাড়াও সিএলও-পিএলও ম্যাপিং এবং ইনটেন্ট টু অ্যাপ্লাই জার্নি শীর্ষক পেজেন্টেশন দেন ইইই
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আসিফ উল হক এবং প্রভাষক মো. ইশতিয়াক আহমেরর বক্তারা জানান, অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকরা বিশেষ করে আইকিএসির সঙ্গে জড়িতরা তাদের এডুকেশনাল ও প্রফেশনাল
দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ব্যাক) এর স্ট্যান্ডার্ডগুলো ভালোভাবে
জানতে পারবেন। তাদের ভাষ্য, যেকোনো ধরনের মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই এবং এটি বজায় রাখার মধ্য
দিয়েই দক্ষতা বাড়াতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন শুধু দেশের মধ্যেই স্বীকৃতি এনে দেয় না;
বিদেশেও একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। এর মধ্য দিয়েই প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং বাড়ে, গ্রাজুয়েটরা এগিয়ে
যায়।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইকিউএসির পূর্ববর্তী কার্যক্রম এবং চ্যালেঞ্জসমূহ, ভবিষ্যৎ
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ এবং আইকিউএসির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
সংক্রান্ত নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে গ্রিন ইউনিভার্সিটি আইকিউএসি পরিচালিত ‘১০ বছর মেয়াদী
মাস্টার প্ল্যান’, ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান’ এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সম্পাদিত নানা কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। পরে
প্রোগ্রামে আগত প্রশিক্ষনার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, যেকোনো কাজের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে প্রশিক্ষণ জরুরি। এর মাধ্যমেই সক্ষমতা অর্জন এবং একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়- সে সম্পর্কে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। কর্মশালায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের স্বীকৃতি ও শিক্ষা- কারিকুলামের নানা অনুষঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
Discussion about this post