নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে সরকার। এসময়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংসদ টিভির মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। তবে পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল এবং হাওর অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা না থাকায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ কাজে আসছে না। এসব শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দুর্গম এলাকায় কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার চিন্তাভাবনা করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সাথে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেডিওর মাধ্যমে পাঠদানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হলে এটি কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে কমিউনিটি রেডিও ব্যবহার করা হতে পারে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির বলেন, ‘আমরা রেডিও কানেক্টিভিটি ব্যবহারের কথা চিন্তা-ভাবনা করছি। কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে করা যায় কিনা, সেটা নিয়ে কাজ করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে।’
অধিদফতার সূত্রে আরও জানা গেছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হলে শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এক্ষেত্রে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের সাধারণ ছুটি কমিয়ে সেটি পূরণ করার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ফলে যদি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তাহলে আমাদের প্রস্তাবনা ছিল-শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বৃদ্ধি করা।
Discussion about this post