বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছে বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
জানা গেছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকলে শিগগির অনলাইনে ক্লাস নেবে খুবি। আর সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করা ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে বিদ্যুৎ এবং নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যার খোঁজ নিচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে খুবি প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাসে সংযুক্তির ক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সুবিধা নেই তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তালিকা তৈরি করবেন নিজ নিজ ডিসিপ্লিন প্রধানরা। এছাড়া অনলাইন ক্লাস চালুর আগে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সুবিধা-অসুবিধা নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানে দু’টি কমিটি গঠন করে আজ পৃথক অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
একাডেমিক বিষয়ে সুপারিশ প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এ কে ফজলুল হককে আহবায়ক এবং ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমনকে সদস্য-সচিব করে ডিনস কমিটি এবং কারিগরি দিকের বিষয়ে সুপারিশ প্রদানে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমানকে আহবায়ক এবং আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারকে সদস্য-সচিব করে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের সাথে দু’ঘণ্টাব্যাপী ভিডিও কনফারেন্স করেন। এ সময় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উদ্ভূত একাডেমিক অবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হলে শিক্ষার্থীরা যাতে আর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়টির উপর জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পাঠদানসহ বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, জুন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আর্থিক বছরের শেষ মাস, অপরদিকে আমাদের একাডেমিক ক্ষেত্রে বছরের দু’টি টার্মের একটির সমাপ্তিরও মাস। আবার এই জুন মাসে করোনা পরিস্থিতির একটি ভবিষ্যৎ অভিক্ষেপ পাওয়া যেতে পারে যাতে সংক্রামণ কমবে, না বাড়বে বা কী অবস্থা দাঁড়াবে তা বোঝা যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা ও ইউজিসির পরামর্শ অনুসরণ করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের সাথে সমন্বয় করা হবে।
এদিকে গত ৩১ মে থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সীমিত পরিসরে চালু করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে থার্মাল স্ক্যানার চালু করা হয়েছে। সকলকে অফিস প্রবেশের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপপূর্বক অফিসে প্রবেশ করতে হবে।
Discussion about this post