বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া স্থানভেদে ২৫ ও ৪০ শতাংশ মওকুফ করেছেন বাড়ির মালিকরা। তবে বেশ কয়েকটি স্থানে ভাড়া মওকুফের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
শুক্রবার(১২জুন) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও মেস ভাড়ার সমস্যা নিয়ে গঠিত কমিটি নবীনবাগ এলাকায় মেস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ২৫ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই এলাকায় ভাড়া থাকা শিক্ষার্থীরা এপ্রিল মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হওয়া পর্যন্ত এভাবে ভাড়া দেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিলও দিতে হবে এসমস্ত শিক্ষার্থীদের।
তবে নবীনবাগে ভাড়া থাকা শিক্ষার্থী অভিষেক বিশ্বাস, সুলতান হোসেন বলছেন, এই দুর্যোগের সময়ে ২৫ শতাংশ ভাড়া মওকুফ সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই না। এতে আমাদের ভোগান্তি তেমন কমবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম সৈকত বলেন, পূর্বের এক আলোচনায় গোবরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কয়েকটি স্থানের বাড়ির মালিকরা ৪০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়। এসমস্ত এলাকার ভাড়া কিছুটা মওকুফ হলেও পাচুড়িয়া, ঘোষেরচর, মান্দারতলা ও গোপালগঞ্জ শহরসহ আশেপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এটি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন।
এবিষয়ে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, আলোচনা শেষে শহরের নবীনবাগ এলাকার মেস ভাড়া ২৫ শতাংশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকার মেস ভাড়া ৪০ শতাংশ মওকুফ করেছে মেস মালিকরা। কয়েকটি এলাকার মেস ভাড়া মওকুফের বিষয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে খুব দ্রুত আলোচনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। টিউশনসহ সবকিছু বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মেস ভাড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কমিটি গঠন করে দেয়। এই কমিটি মেস মালিকদের সাথে আলোচনা করে মেস ভাড়া মওকুফে কাজ করছে।
Discussion about this post