নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বছরের ২৩ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এক বছর হলেও এখনও পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।এর মধ্যে সাড়ে ৯ লাখ পরীক্ষার্থীর প্রিলিমিনারির ফল মাত্র এক মাসের ব্যবধানে প্রকাশ করলেও ২ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থীর লিখিত’র ফল আটকে আছে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে।
এতে করে প্রিলি উত্তীর্ণদের হতাশা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অনেকের আবার বয়সসীমাও শেষ হতে চলেছে। অথচ এনটিআরসিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন দায়িত্ব ছাড়ার আগে জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। তবে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন আজও হয়নি।
যদিও বর্তমান প্রশাসন বলছে, করোনার কারণে তাদের ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা দ্রুতই ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করছি। ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতার কারণ জানতে চাইলে গত ১৫ জুন এনটিআরসিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ফলে আমরা কেউ ঠিকমতো অফিস করতে পারছি না। সেজন্য ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজ আটকে রয়েছে।
কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।। আমরাও চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে। ফল প্রত্যাশীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন তাদেরকে বলব আপনারা আর কিছুদিন ধৈর্য ধরুন। আমরা দ্রুতই ফল প্রকাশ করব। এ সময় তিনি ফল প্রকাশ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চলতি মাসের শেষ দিকে খোঁজ নিতে বলেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। সেই বছরের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে ১১টায় স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এবং বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সময় লাগে মাত্র একমাস। ৩০ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৪২ জন উত্তীর্ণ হন। একই বছরের ১৫ ও ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা। চেয়ারম্যানের অবসর নেয়া, করোনাসহ নানা কারণে ঝুলে থাকে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ। ফলে বিপাকে পড়েন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রায় সোয়া দুই লাখ প্রার্থী।
Discussion about this post