নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবকিছুই দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাও তার সঙ্গে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যদি নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে না পারেন, তাহলে অচিরেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভয়াবহ সংকট দেখা যাবে।
রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘কোভিড-১৯ এর প্রভাব: বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা এবং অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা’ শীর্ষক এক অনলাইন সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। বুধবার(২৪জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর টিচিং অ্যান্ড লার্নিং এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির প্রধান অতিথি এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গ্রিন বিজনেস স্কুলের শিক্ষক ও সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর টিচিং অ্যান্ড লার্নিং কো-অর্ডিনেটর হাসান আল জুবায়ের রনি এই সভা পরিচালনা করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ড. এম এ মান্নান বলেন, করোনাকালে নানামুখী সমস্যা থাকলেও সরকারের সহযোগিতা থাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলো তা কাটিয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জে পড়বে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রদের টাকায় চলে, তাই মান নিশ্চিত করেই তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। তা না হলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বন্ধ হয়ে যাবে। এ সময় তিনি শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষা উপকরণ বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পারস্পরিক সমঝোতা করার আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী বলেন, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই এই অনলাইন শিক্ষা চালিয়ে নিতে হবে। আর এ কারণেই গ্রিন ইউনিভার্সিটি লকডাউনের শুরু থেকেই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন, শিক্ষার্থী ভর্তি ও পেমেন্ট সিস্টেমসহ নানা অনলাইন উদ্যোগ তুলে ধরেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, চেয়ারম্যানসহ দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা অংশ নেন।
Discussion about this post