অনলাইন ডেস্ক
নভেল করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির এমন পর্যায়ের এই সময়েও শিশুরা যাতে করে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ইউনিসেফ। সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, নিউইয়র্কে গত ২৯ জুন অনুষ্ঠিত ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রথম ভার্চুয়াল আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে বোর্ডের সভাপতি ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা করোনাকালে শিশুদের শিক্ষার প্রতি সকলকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে অনলাইন ও দূর-শিক্ষণে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ প্রাধিকারভুক্ত বিষয় হওয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘সদস্য দেশসমূহে ইউনিসেফের নিয়মিত ও অবশ্য পালনীয় যেসব কর্মসূচি রয়েছে তা যেন কোনোভাবেই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ইউনিসেফের কর্মসূচিসমূহের পরিপূরক না হয়।’
এমন মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের, স্বল্পোন্নত ও আফ্রিকার দেশসমূহ যে ভয়াবহ বাস্তবতা মোকাবিলা করছে তা বৈঠকে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এসময় তিনি বলেন, ‘হাত ধোয়ার মতো বিষয়টিও অনেক শিশুর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে প্রবেশের সুযোগ থেকে এই শিশুরা বঞ্চিত।’
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইউনিসেফের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত বা হ্রাস হওয়ার ফলে কলেরা, পোলিও এবং হামের মতো প্রতিরোধযোগ্য রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
করোনা মহামারিকে জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি। কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও উত্তরণে ইউনিসেফ গৃহীত কর্মসূচিগুলো যাতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলো গৃহীত কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
Discussion about this post