নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্রমাগত লোকসানের কারণে স্থায়ী শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠিয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পাটকলগুলোর অধীনে থাকা বিজেএমসির মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এমপিওভুক্ত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বিজেএমসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে বিজেএমসির ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা ১৩২ জন বলে বিজেএমসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
২৫টি সরকারি পাটকলের ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় করে দেবে সরকার। পরবর্তী সময়ে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে মিলগুলো ফের চালু করা হবে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
পাটকলগুলোর অধীনে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কী হবে- জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারিকরণ হবে। অপরদিকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। শিক্ষকরাও এই দুটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে।’
বিজেএমসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমরা যেভাবে স্কুলগুলো চালিয়েছি সেভাবে তো পরে আর চালানো যাবে না। তাই মাধ্যমিক স্কুলগুলো এমপিওভুক্ত ও প্রাইমারি স্কুলগুলো জাতীয়করণ করা ছাড়া তো কোনো বিকল্প নেই।’
Discussion about this post