নিউজ ডেস্ক
বেসরকারি স্কুলগুলো বিভিন্ন পাঠ্যক্রমে পরিচালিত হওয়ায় এই স্কুলগুলোর ওপর আইনগতভাবে সরকারের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে করোনা পরিস্থিতি সেখানে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানো নিয়ে অভিভাবকরা যে দাবি তুলেছেন, সে ব্যাপারে সরকারের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এমন অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উপমন্ত্রী বলেন, ‘অভিভাবকরা জেনে বুঝে বাচ্চাদের দামি স্কুলে পাঠিয়েছে। এখানে আইনগতভাবে সরকারের কিছু করার নেই। আমরা বলবো, স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন অভিভাবকদের কথা আমলে নেন।’
এদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়ার সুযোগ নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে বেসরকারি ওই স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণে যদি কোন এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।
নওফেল বলেন, ‘প্রতিটি জেলাতেই সরকারি স্কুল আছে। তারপরও অভিভাবকরা পয়সা খরচ করে কিন্ডারগার্টেনে বাচ্চাদের পড়ায়। তারপরও যদি একটা এলাকায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হওয়ার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
অভিভাবকদের অভিযোগ বেতন পরিশোধ না করায় অনেক স্কুল রেজাল্ট প্রকাশ না করাসহ নতুন ক্লাসে নাম তুলবে না বলে চাপ দিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, স্কুল ও অভিভাবক দুই পক্ষকেই কিছুটা ছাড় দিয়ে মানবিক সমাধানে আসতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
Discussion about this post