নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আজ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মহামারী বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এটি এখন মানব জাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ দাঁড়িয়েছে। এতদসত্ত্বেও আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
আজ শনিবার (১৮ জুলাই) জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে নিজস্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সচেষ্ট হতে হবে। এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আমরা যেন মানবিক হই। প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়াই। পরিস্থিতি যতো প্রতিকূলেই হউক বা চ্যালেঞ্জিং হউক মানুষের জীবন কখনো থেমে থাকতে পারে না।
যেসব কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে পাঠদান করে যাচ্ছেন তাদেরকে মাননীয় উপাচার্য তাঁর অভিভাষণে অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, আমরা বেশ কতগুলো কলেজকে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত করে স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করবো। একইসঙ্গে কারোনাকালীন পরিস্থিতির অবসান হলেও বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত থাকবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিচালন ব্যবস্থায় এটা হবে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাতে স্বাভাবিক সময়েও এটি চলমান থাকে।
অধিবেশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নোমান উর রশীদ ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও উন্নয়নসহ মোট ৫৫৬ কোটি ৯৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বাজেট পেশ করেন, যা সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়।
এছাড়াও অধিবেশনে বার্ষিক বাজেট, বার্ষিক প্রতিবেদন, গত অধিবেশনের কার্যবিবরণী, নতুন দপ্তর ও পদ সৃষ্টি অনুমোদন হয়।
অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য ও সিনেটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
এ অধিবেশনে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, অ্যারোমা দত্ত এমপি, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পিএসসি’র সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, জনপ্রশাসন সচিব মো. ইউসুফ হারুন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. খন্দকার বজলুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান মিয়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম, মাউশির ডিজি প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ কানিজ মাহমুদ।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষসহ ৬২ জন সম্মানিত সিনেট সদস্য এবং ৬ জন আমন্ত্রিত অতিথি অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post