নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ‘ফ্রি ইন্টারনেট’ ও ‘ব্যাংক ঋণ’ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। করোনাকালে অনলাইন পাঠগ্রহণের কথা চিন্তা করে এই সুবিধা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অনলাইনের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে টানতে এ দুটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে।
প্রস্তাবে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা ও অনলাইন পাঠের জন্য স্মার্টফোনসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে ঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। ইউজিসির মতে, দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা সুদমুক্ত কিংবা স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ পেলে তাদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্ন রাখতে পারবে। গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইন শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা চালু করেছে। তবে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ইন্টারনেট ব্যয় বহন সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, শুধু তাদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্রদান কিংবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। করোনাপরবর্তী সময়ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, করোনার সময়ে শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা থাকলেও ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
জানা গেছে, নানা সীমাবদ্ধতায় অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে পারেনি অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো। গত ২৫ জুন এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনলাইনে পাঠদান শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গত ৩০ জুন দুটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইউজিসি সূত্র জানায়, তাদের জরিপ মতে- ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে। ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন বা অন্য ডিভাইস নেই। এ কারণে তাদের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন কিনতে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইউজিসি।
Discussion about this post