নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষাসহ শিক্ষা-সংক্রান্ত জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)৷ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়া ও কম নম্বর পেলে পরে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তাঁদেরকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মাসুম রানা ওরফে রনি (২৪) এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুর রহিম সাদেক (২২)৷ বুধবার (২২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে র্যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷
এতে বলা হয়, সাত কলেজের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে একটি জালিয়াত চক্র টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে বিশাল অঙ্কের টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ফয়সাল মাহবুব নামে ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চক্রটি ফেসবুকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। একই সঙ্গে ডিগ্রি (পাস) কোর্সের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপেও কমেন্ট করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দেওয়া ও বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়৷ সে অনুযায়ী অনেক শিক্ষার্থী ওই চক্রকে অর্থ দেন ৷
বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এলে গত ১ জুলাই শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। এ ছাড়া র্যাব-৩-এর অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে আটক করে র্যাব ৷ তাদের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ও নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয় ৷
এসব প্রতারকদের ফাঁদে পা না দিতে ও আর্থিক লেনদেন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব জালিয়াতি যাঁরা করবেন বা যাঁরা আশ্রয় নেবেন, তাঁরা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন বলে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post