‘নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটি প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) নিয়ে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়।
তিনি বলেন, আইনে ২৯টি ধারা রয়েছে। কীভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে তা খসড়া আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।’
১৯৭৮ সাল থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে যে কাজগুলো হয়েছে তা আইনের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, এ আইনের অধীনে কাজগুলো হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে। সুতরাং কৃতকাজের কোনোটি চ্যালেঞ্জ করা যাবে না যে আইনের বহির্ভূত কাজ (এটা আইনবহির্ভূত কাজ)।
অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর হবে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন, উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে এ আইন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লেখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না। বর্তমানে খসড়া আইনে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাঠক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করার বিষয়ে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
Discussion about this post