নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে নির্বাহী শিক্ষা অত্যাবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ‘সার্ভাইভিং দ্য প্যানডেমিক’ ধারাবাহিক আলোচনার পঞ্চম পর্বে ‘এক্সিকিউটিভ এডুকেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামস থ্রু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: প্রিপেয়ার্ডনেস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচ্যুনিটিস’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী সিসিসিআই ও বিসিইর সময়োপযোগী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ ধরনের আরও কর্মসূচি গ্রহণের অনুরোধ জানান এবং এ অনুষ্ঠানকে বেসরকারি খাত, শিক্ষাবিদ এবং সরকারের মধ্যে একটি সমন্বয়ের উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।
উপমন্ত্রী আলোচকদের নির্বাহী শিক্ষা ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কর্মসূচিকে কীভাবে আরও বেশি শিল্পমুখী করা যায় তা নিয়ে আলোচনার অনুরোধ জানিয়ে শিল্পভিত্তিক পাঠ্যক্রম প্রণয়নের কথা বলেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ও বিসিইর চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল আতাউল এইচএস হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, স্কুল ফর ফিউচার ইনোভেশন ইন সোসাইটি অব এরিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি ইউএসএ’র ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. ফাহিম হুসাইন, প্রথম আলো’র হেড অব ইয়ুথ প্রোগ্রাম মুনির হাসান এবং চিটাগাং চেম্বার পরিচালক ও বিসিই’র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। সঞ্চালনা করেন বিসিইর প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়েবিনার জুম কনফারেন্সের আয়োজন এক দশক আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন যার বাস্তবায়ন তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। তিনি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলেন বিশেষ করে প্রথম সারির এবং মধ্যম সারির ব্যবস্থাপনা নির্বাহীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গুণগত মানোন্নয়ন জরুরি কেননা তারা বেসরকারি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে।
চেম্বার সভাপতি এ প্রেক্ষিতে কীভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উচ্চমানসম্পন্ন নির্বাহী শিক্ষা দেওয়া যায় এবং এক্ষেত্রে প্রস্তুতি, সীমাবদ্ধতা এবং কী সুযোগ রয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনার আহ্বান জানান।
প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, আইবিএ অনলাইন এক্সিকিউটিভ এডুকেশন দেওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুত রয়েছে এবং বর্তমানে বিভিন্ন খাত বিষয়ক কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
তিনি অন্যান্য খাতের ওপর শিক্ষাক্রম চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে চিটাগাং চেম্বার এবং বিসিই’র সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানসম্পন্ন এক্সিকিউটিভ এডুকেশন চালুর আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
মেজর জেনারেল আতাউল এইচএস হাসান বলেন, বিইউপি বর্তমানে মিশ্রিত শিক্ষা কর্মসূচি পরিকল্পনা করছে যার ৬০ শতাংশ অনলাইনের মাধ্যমে এবং ৪০ শতাংশ সরাসরি ক্লাসে উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
প্রফেসর ড. ফাহিম হুসাইন অনলাইন এডুকেশনের জন্য বিষয়বস্তু পুনঃনির্ধারণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন যেখানে অন্তর্ভুক্তি প্রাধান্য পাবে।
মুনির হাসান পুঁথিগত বিদ্যার পরিবর্তে আরও বেশি আলোচনাভিত্তিক ও অনুকরণমূলক শিক্ষা চালুর ওপর আলোকপাত করেন।
Discussion about this post