নিজস্ব প্রতিবেদক
স্মার্টফোন কেনায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা প্রণয়নে ৪৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চাকরিবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন, গবেষণা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ করতেও বলা হয়েছে চিঠিতে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লেখা পৃথক তিনটি চিঠিতে এসব অনুরোধ জানানো হয়। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৯ আগস্ট) ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক স্বীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করা অবশ্য কর্তব্য। চাকরিবিধি/প্রবিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা কোনো ধরনের লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারেন না। কিন্তু কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিবিধি/প্রবিধি অমান্য করে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া একদিকে যেমন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করছেন, যা কমিশনের নজরে এসেছে।
তিনি বলেন, এমন কর্মকাণ্ড চাকরি বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক স্বার্থে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি/প্রবিধি যথাযথ প্রয়োগ, অনুসরণ ও প্রতিপালনের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য উপাচার্যদের অনুরোধ জানানো হয়।
ড. শামসুল আরেফিন আরো বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করার জন্য গত ২৫ জুন কমিশন এবং উপাচার্য মহোদয়দের মধ্যে জুম ক্লাউড -এ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্যদের মতামতের ভিত্তিতে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে যাতে সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ এবং Soft loan/Grants-এর আওতায় স্মার্টফোন সুবিধার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য কমিশন থেকে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর পত্র পাঠানো হয়।
অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে সকল শিক্ষার্থীর ডিভাইস ক্রয়ে আর্থিক সক্ষমতা নেই, শুধুমাত্র সে সকল শিক্ষার্থীর নির্ভুল তালিকা আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে বন্ধনিতে উদ্ধৃত (director_publicuniv@ugc.gov.bd) ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
Discussion about this post